আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
মুক্তি পাগল জনতার কাছে শ্রদ্ধাভরে বারংবার উচ্চারিত একটি নাম- একটি আন্দোলন- একটি প্রতিষ্ঠান । মুসলিম বিশ্বে সুপরিচিত ইসলামী ব্যক্তিত্ব । আল্লাহর কোরআনের প্রচার-প্রসারের ক্ষেত্রে তার অবদান মুসলিম বিশ্বের গন্ডি অতিক্রম করে অমুসলিম বিশ্ব তথা পাশ্চাত্য জগতেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে । আপন মহিমায় ভাস্বর আল্লামা সাঈদীর একজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও অসাধারন বাগ্মী । মুসলিম জাহানের চিন্তাশীল মহলে তার সম্মান ও মর্যাদা আকাশচুম্বী । এদেশের মুসলমানদের জন্য তার অবদান এতোটা বিশাল্ ও প্রশস্ত যে, তা ভাসার তুলিতে প্রকাশ করা আমার মতো নগন্য মানুষের পক্ষে কোনক্রমেই সম্ভব নয় ।
বাংলাদেশের মুসলমানদের চরম দুর্দিনে তিনি মহাগ্রন্থ আল কোরআনের বিপ্লবি আহ্বান নিয়ে যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত হয়ে কান্ডারি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন । বাংলাদেশে আল কোরআনের রাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে তিনি যে জাগরন সৃষ্টি করেছেন, এমন কোন শক্তির বর্তমানে অস্তিত্ব নেই যে এই ইসলামী জাগরনকে আবদামিত করতে পারে । আল্লামা সাঈদী বাংলাদেশের নির্যাতিত জনতার বন্ধু শুধু নন, ইসলাম বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে ব্জ্র কঠিন আপোষহীন ভূমিকা গ্রহন করার কারনে গোটা বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের কন্ঠস্বর হিসেবে গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করেছেন । জনপ্রিয়তার যে কোনো মানদণ্ডে উত্তীর্ণ আল্লাম সাঈদী গোটা জাতির কাছে যেন এক জীবন্ত কিংবদন্তী ।
১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ জাতি নিজের স্বকীয় আদর্শের ভিত্তিতে একটি সুন্দর সুখী সমৃদ্ধশালী জীবন ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিলো । মধুর স্বপ্ন বুকে ধারন করে মরনপন যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলো । কিন্তু জাতির কুসুমাস্তীর্ণ পথ তৎকালীন সরকারের সরযন্ত্রের দানব সৃষ্ট প্রবল ভূমিকম্পে নিষ্ঠুরভাবে ধ্বসে পড়লো । গোটা জাতি যেন নিচ্ছিদ্র অন্ধকারে ঢেকে গেলো । নিশা-মহানিশা নেমে এলো জাতীয় জীবনে । কোথাও সামান্যতম আলোর রেখাটুকু বাকি রইলো না । জাতীয় জীবনে সুখসূর্য স্বৈরাচারের পদতলে নিস্প্রভ হয়ে পড়লো । গোটা জাতির খরস্রোতা জীবন নদীর তলদেশে তৎকালীন সরকারের তৈরি দূষিত বর্জ্য আর শৈবালদাম ঘন ও স্তূপীকৃত হয়ে স্রোতস্বিনীর গতিকে হরন করলো ।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সরকারের আমন্ত্রিত অতিথি ব্রাম্মন্যবাদ বাংলার মুসলমান তরুন, যুবকদের সমগ্র বোধশক্তির উপরে চিরতরে মহা বিস্মৃতির কৃষ্ণকালো অন্ধকারের যবনিকা টেনে দেবার যাবতীয় ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করলো । জাতীয় জীবনের যেখানে শুরু, সেখানেই নামিয়ে দেয়া হলো অভিশাপের সর্বগ্রাসী অনল প্রবাহ । দেশের সেও ক্রান্তিলগ্নে তওহীদি জনতার বিপ্লবী কন্ঠস্বর হিসেবে আল্লামা সাঈদী অকুতোভয়ে সিংহ গর্জনে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন । ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায়, নমরুদ যেখানে কথা বলার চেস্টা করেছে, ইবরাহীম (আঃ) সেখানে আবির্ভূত হয়ে নমরুদের বাকশক্তি রুদ্ধ করে দিয়েছেন । যেখানে ফেরাউন হামাগুড়ি দেয়ার চেস্টা করেছে, সেখানেই মুসা (আঃ) গর্জন করে উঠেছেন । যেখানে আবু জেহেল ফনা বিস্তার কপ্রার চেস্টা করেছে, সেখানেই ওমর, আবুবকর (রাঃ) সে ফনা দলিত মথিত করেছেন ।
আল্লামা সাঈদীর মতো বিশাল ব্যক্তিত্বকে মুল্যায়ন করে কিছু লেখার সামান্যতম যোগ্যতা আমার নেই । তার চলমান বিশাল কর্মময় জীবনের স্মরণীয় ঘটনা সমুহ যতোটুকু জানি, জাতীয় জীবনে তার প্রভাব সম্পর্কে যা অনুভব করি, তা ধীরে ধীরে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেস্টা করবো ইনশাআল্লাহ ।
আল্লামা সাঈদীকে ঘনিষ্ঠভাবে জানার জন্য দেশে বিদেশের অগনিত মানুষের বুকে রয়েছে অসীম পিপাসা । তার গৌরবময় জীবন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ব্যক্তিদের কিছুটা পিপাস দূর করবে আমার বিশ্বাস । (চলবে)
বাংলাদেশে ইসলামী পুনজাগরনে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর অবদান
মুক্তি পাগল জনতার কাছে শ্রদ্ধাভরে বারংবার উচ্চারিত একটি নাম- একটি আন্দোলন- একটি প্রতিষ্ঠান । মুসলিম বিশ্বে সুপরিচিত ইসলামী ব্যক্তিত্ব । আল্লাহর কোরআনের প্রচার-প্রসারের ক্ষেত্রে তার অবদান মুসলিম বিশ্বের গন্ডি অতিক্রম করে অমুসলিম বিশ্ব তথা পাশ্চাত্য জগতেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে । আপন মহিমায় ভাস্বর আল্লামা সাঈদীর একজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও অসাধারন বাগ্মী । মুসলিম জাহানের চিন্তাশীল মহলে তার সম্মান ও মর্যাদা আকাশচুম্বী । এদেশের মুসলমানদের জন্য তার অবদান এতোটা বিশাল্ ও প্রশস্ত যে, তা ভাসার তুলিতে প্রকাশ করা আমার মতো নগন্য মানুষের পক্ষে কোনক্রমেই সম্ভব নয় ।
বাংলাদেশের মুসলমানদের চরম দুর্দিনে তিনি মহাগ্রন্থ আল কোরআনের বিপ্লবি আহ্বান নিয়ে যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত হয়ে কান্ডারি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন । বাংলাদেশে আল কোরআনের রাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে তিনি যে জাগরন সৃষ্টি করেছেন, এমন কোন শক্তির বর্তমানে অস্তিত্ব নেই যে এই ইসলামী জাগরনকে আবদামিত করতে পারে । আল্লামা সাঈদী বাংলাদেশের নির্যাতিত জনতার বন্ধু শুধু নন, ইসলাম বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে ব্জ্র কঠিন আপোষহীন ভূমিকা গ্রহন করার কারনে গোটা বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের কন্ঠস্বর হিসেবে গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করেছেন । জনপ্রিয়তার যে কোনো মানদণ্ডে উত্তীর্ণ আল্লাম সাঈদী গোটা জাতির কাছে যেন এক জীবন্ত কিংবদন্তী ।
১৯৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ জাতি নিজের স্বকীয় আদর্শের ভিত্তিতে একটি সুন্দর সুখী সমৃদ্ধশালী জীবন ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিলো । মধুর স্বপ্ন বুকে ধারন করে মরনপন যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলো । কিন্তু জাতির কুসুমাস্তীর্ণ পথ তৎকালীন সরকারের সরযন্ত্রের দানব সৃষ্ট প্রবল ভূমিকম্পে নিষ্ঠুরভাবে ধ্বসে পড়লো । গোটা জাতি যেন নিচ্ছিদ্র অন্ধকারে ঢেকে গেলো । নিশা-মহানিশা নেমে এলো জাতীয় জীবনে । কোথাও সামান্যতম আলোর রেখাটুকু বাকি রইলো না । জাতীয় জীবনে সুখসূর্য স্বৈরাচারের পদতলে নিস্প্রভ হয়ে পড়লো । গোটা জাতির খরস্রোতা জীবন নদীর তলদেশে তৎকালীন সরকারের তৈরি দূষিত বর্জ্য আর শৈবালদাম ঘন ও স্তূপীকৃত হয়ে স্রোতস্বিনীর গতিকে হরন করলো ।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সরকারের আমন্ত্রিত অতিথি ব্রাম্মন্যবাদ বাংলার মুসলমান তরুন, যুবকদের সমগ্র বোধশক্তির উপরে চিরতরে মহা বিস্মৃতির কৃষ্ণকালো অন্ধকারের যবনিকা টেনে দেবার যাবতীয় ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করলো । জাতীয় জীবনের যেখানে শুরু, সেখানেই নামিয়ে দেয়া হলো অভিশাপের সর্বগ্রাসী অনল প্রবাহ । দেশের সেও ক্রান্তিলগ্নে তওহীদি জনতার বিপ্লবী কন্ঠস্বর হিসেবে আল্লামা সাঈদী অকুতোভয়ে সিংহ গর্জনে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন । ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায়, নমরুদ যেখানে কথা বলার চেস্টা করেছে, ইবরাহীম (আঃ) সেখানে আবির্ভূত হয়ে নমরুদের বাকশক্তি রুদ্ধ করে দিয়েছেন । যেখানে ফেরাউন হামাগুড়ি দেয়ার চেস্টা করেছে, সেখানেই মুসা (আঃ) গর্জন করে উঠেছেন । যেখানে আবু জেহেল ফনা বিস্তার কপ্রার চেস্টা করেছে, সেখানেই ওমর, আবুবকর (রাঃ) সে ফনা দলিত মথিত করেছেন ।
আল্লামা সাঈদীর মতো বিশাল ব্যক্তিত্বকে মুল্যায়ন করে কিছু লেখার সামান্যতম যোগ্যতা আমার নেই । তার চলমান বিশাল কর্মময় জীবনের স্মরণীয় ঘটনা সমুহ যতোটুকু জানি, জাতীয় জীবনে তার প্রভাব সম্পর্কে যা অনুভব করি, তা ধীরে ধীরে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেস্টা করবো ইনশাআল্লাহ ।
আল্লামা সাঈদীকে ঘনিষ্ঠভাবে জানার জন্য দেশে বিদেশের অগনিত মানুষের বুকে রয়েছে অসীম পিপাসা । তার গৌরবময় জীবন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ব্যক্তিদের কিছুটা পিপাস দূর করবে আমার বিশ্বাস । (চলবে)
বাংলাদেশে ইসলামী পুনজাগরনে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর অবদান
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন