ইসলামী শিক্ষা দিবস
.
প্রেরণার বাতিঘর শহীদ আবদুল মালেক.
শহীদ আব্দুল মালেক জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৭ সালে বগুড়া জেলার ধূনট থানার অন্তর্গত খোকসাবাড়ীর নামক গ্রামে। ধর্মপ্রাণ মৌলভী মুহম্মদ আলীর কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন আব্দুল মালেক। সর্বকনিষ্ঠ সন্তান হওয়ার কারণে স্বভাবতই তিনি পিতামাতার একান্ত স্নেহ ও আদরে বড় হতে থাকেন। শহীদ আব্দুল মালেকের জন্মের পূর্বে পর পর দু’টি ভাইয়ের মৃত্যু এ পরিবারটিকে শোকের সাগরে ভাসিয়েছিল। তাই ছোট বেলা থেকেই পরিবারের সবার কাছে তিনি ছিলেন “সাত রাজার ধন।”
.
পাঁচ বছর বয়সে আব্দুল মালেককে তাঁর পিতা খোকসাবাড়ী প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করেন দেন। সাধারণ ছেলেদের চাইতে এ শিশুটি ছিল একটু ব্যতিক্রম। শিক্ষকদের কাছে গিয়ে প্রত্যহই নতুন কিছু না জেনে মালেক বাড়ি ফিরতো না কোনোদিন। তাই সব শিক্ষকই তাকে দেখতেন অত্যন্ত স্নেহের চোখে। খোকসাবাড়ী প্রাইমারি স্কুল হতে কৃতিত্বের সাথে তৃতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হলে বাবা- মা তাকে ভর্তি করে দেন গোসাইবাড়ী হাই স্কুলে। জোড়াখালী নিবাসী মহিউদ্দিনের বাড়িতে লজিং থাকতেন তিনি। মহিউদ্দিন সাহেব লক্ষ্য করলেন ইসলাম সম্পর্কে মালেকের অসীম আগ্রহ। ইসলামী আন্দোলনের একজন কর্মী হিসেবে তিনি তাকে পরিচিত করালেন ইসলামের বৈপ্লবিক রূপের সাথে। বুঝালেন দুঃখ দারিদ্র্যতা, ভয়Ñভীতি, ক্ষুধা ও দুর্দশা থেকে মানব জাতিকে একমাত্র ইসলামই রক্ষা করতে পারে । শহীদ আ. মালেকের কোমল হ্রদয়ে তাই মহিদ্দীনের প্রভাব পড়েছিল অপরিসীম।
.
ইতোমধ্যে ১৯৬০ সালে তিনি জুনিয়র স্কলারশিপ পান এবং অষ্টম শ্রেণী পাস করার পর বগুড়া শহরে এসে পড়াশুনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এইভাবে ১৯৬১ সালে তিনি বগুড়া জিলা স্কুলে নবম শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। এখানেও তাঁর আর্থিক অসচ্ছলতার জন্যে জায়গীয়র থাকতে হয়। কিন্তু কিছুদিন পরই স্কুলের ছাত্রাবাসে চলে আসেন। ১৪ বছরের এক কিশোর। সবুজ শ্যামল গাঁয়ের মায়া কাটিয়ে, আম্মা, আব্বা ও ভাই -বোনের আদরের জাল ছিন্ন করে। সে শহরের বুকে দিন কাটায় । কি দুরন্ত আশা তার বুকে! ভাবতেই অবাক লাগে! বগুড়ায় স্কুলে ভর্তি হতে এসে চিঠি লিখছেন, “বাড়ির কথা ভাবিনা, আমার শুধু এক উদ্দেশ্য, খোদা যেন আমার উদ্দেশ্য সফল করেন। কঠিন প্রতিজ্ঞা নিযে এসেছি এবং কঠোর সংগ্রামে অবর্তীণ, দোয়া করবেন খোদা যেন সহায় হন। আমি ধন-সম্পদ কিছুই চাই না, শুধু মাত্র যেন প্রকৃত মানুষরূপে জগতের বুকে বেঁচে থাকতে পারি।” ছোট্র পোস্টকার্ডে এক কিশোরের লেখা কয়েকটি কথা। কি বলিষ্ঠতা তার বিশ্বাসে! সংগ্রামী এই কিশোর তাই সাধনার পথে একে একে সফল পদক্ষেপে এগিয়ে চললেন। বগুড়া জিলা স্কুলেও তিনি তাঁর কৃতিত্বেও পরিচয় দেন এবং ১৯৬৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংক ও রসায়নে লেটারসহ রাজশাহী বোর্ডে একাদশ স্থান অধিকার করেন। কিন্তু এ সময়েই তার জীবনে নেমে আসে এক কঠিন দুর্যোগ। পিতৃস্নেহ থেকে চিরতরে বঞ্চিত হলেন তিনি। এরপর থেকে বিধবা মায়ের ছায়াই হয় তার একমাত্র সম্বল।
.
এসএসসি পরীক্ষায় একাদশ স্থান অধিকার করে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি রাজশাহী সরকারি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। তাঁর অমায়িক ও সহৃদয় ব্যবহার এবং মিশুক মনোবৃত্তি সহপাঠীদের মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। কলেজের সকল বির্তক সভা, রচনা ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন তিনি। লজিং মাস্টার মহিউদ্দিন সাহেবের উৎসাহে তিনি এ সময় ইসলামী ছাত্র সংঘের কাজ পুরোদমে শুরু করেন। রাজশাহীতে ইসলামী ছাত্র সংঘের আন্দোলন জোরদার হওয়ার পিছনে তাঁর অবদান অনন্য। তিনি এখানে ছাত্রদের মধ্যে ইসলামী জ্ঞান প্রসারের জন্যে অনেক চেষ্টা সাধনা করে একটি পাঠাগার স্থাপন করেন। রাজশাহীতে ছাত্রদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের ভিত্তিরুপে কাজ করে এ পাঠাগারটি। শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর মেধা ও সময়ে আরো উৎকর্ষতা লাভ করে। ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথমেটিক্স এ লেটারসহ রাজশাহী বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে চতুর্থ স্থান অধিকার করার পর তিনি ৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রাসায়ন বিভাগে ভর্তি হন।
.
ঢাকায় আসার পর তাঁর ওপর ছাত্র সংঘের গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়। প্রথমে শহর শাখায় দফতর সম্পাদক ও পরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সর্বশেষে শহর শাখায় সভাপতির দায়িত্বপূর্ণ পদ অর্পিত হয় তার ওপর, সংঘের প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি। কঠিন পরিশ্রমী ও কঠোর অধ্যবসায়ী শহীদ আ. মালেক সংঘের এত দায়িত্বপূর্ণ কাজের ফাঁকে ফাঁকে ইসলাম, ইসলামী দর্শন ও বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দর্শন ও আন্দোলন সর্ম্পকে ব্যাপক অধ্যয়ন করেন। হাজারো দায়িত্বের মাঝেও তাঁর এ পড়াশুনা চলেছে অব্যাহত গতিতে। কাসের পড়াশুনোর প্রতি তিনি অবহেলা করেননি কখনো। কিন্তু গত বছর (৬৮) বিরামহীন গতিতে সংঘের কাজ করতে গিয়ে তাঁর পড়াশুনা কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয় এবং অর্নাস ফার্স্ট কাস পাবেন না ভেবে দু’টি পরীক্ষা দেবার পর পরীক্ষা ড্রপ দিয়েছিলেন। এবার তিনি পূর্ণোদ্যমে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু কে জানতো তার হইজীবনে ফাইনাল পরীক্ষার সময় এত সন্নিকটে?
.
২ আগস্ট ‘৬৯ ঢাকার নিপা’য় ছাত্রদের আহ্বান করা হলো শিক্ষানীতির উপর আলোচনা করার জন্য। সেদিন শহীদ আব্দুল মালেকের ক্ষুরধার যুক্তি ও বলিষ্ঠ ভাষণ মিলানায়তনের সবাইকে মুগ্ধ করলো। শ্রোতারা ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার পক্ষেই মত প্রকাশ করল। সেদিন তাঁর কণ্ঠস্বরে দৃঢ় বিশ্বাস ফুটে উঠেছিল। তার সে কণ্ঠস্বর ছিল বলিষ্ঠ, ছিল দ্বিধাহীন। অনেকের কাছে হয়তো এই শিক্ষানীতি নিয়ে পরস্পর বিরোধী যে আন্দোলন হচ্ছিল তা সাধারণ ব্যাপার বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু শহীদ আবদুল মালেক এসবের মাঝে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ পথ দেখতে পাচ্ছিলেন। তাই তিনি ১০ আগস্ট বাড়িতে এক চিঠি লিখলেন : “পাকিস্তান এক সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় মধ্য দিয়ে চলছে ইসলামী ও ইসলাম বিরোধী শক্তির মধ্যে চূড়ান্ত এক সংঘর্ষের প্রচুর সম্ভাবনা লক্ষ্য করছি। জানি না কি হবে।’’
আসলেও তাই, ইসলাম বিরোধী চক্র মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রতিনিধিত্বশীল কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নামে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার পক্ষে প্রস্তাব পাস করতে চাইলো। সে জন্যে তারা ১২ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র- শিক্ষক কেন্দ্র মিলানায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবক্তা কয়েকজন ছাত্র আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে চাইলো। কিন্তু তাদের বক্তৃতা দিতে দেয়া হলো না। সভার এক পার্যযে শ্রোতাদের পক্ষ থেকে এক আপত্তিকর উক্তির প্রতিবাদ করা হলো। সঙ্গে সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতন্ত্রের প্রবক্তাদের সমস্ত রাগ গিয়ে পড়লো উপস্থিত ইসলমী আন্দোলনের তরুণ কর্মীদের উপর। ছাত্র নামধারী এসব গুন্ডাদের সাথে মিলনায়তনেই সংঘর্ষ হলো। ইসলামপন্থী ছাত্রদের কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত হলো। এদিকে গুণ্ডারা আরও দু’তিনজন কর্মী। তাঁরা রেসকোর্সের দিকে দৌঁড়াতে লাগলেন । কিন্তু দুর্বৃত্তরা তবুও তাঁদের তাড়া করছিল। মাঠের মাঝখানে তারা শহীদ আব্দুল মালেককে লাঠি লোহার রড প্রভৃতি দিয়ে আক্রমণ করে তাকে গুরুতরভাবে আহত করলো। তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লেন। প্রায় আধমরা অবস্থায় সেখানে তাদের রেখে দৃর্বৃত্তরা চলে গেলে আশে পাশের লোকেরা তাদেরকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। তার সংবাদ ছড়িয়ে সাথে সাথে হাসপাতাল ভরে গেল ইসলামী আন্দোলনের কর্মী আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীতে। সবার চোখে অশ্রুর বন্যা।
বাতাসের সাথে ছড়িয়ে পড়লো এখবর ঢাকা শহরের অলি- গলিতে । যারা তাকে চিনতো তারা অবাক হয়ে গেল শুনে । আর যারা চিনতো না তারাও আশ্চর্য হলো পাকিস্তানের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গনে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার দাবি তোলার এই কি পরিণতি?
শহীদ আব্দুল মালেকের যুক্তি, জ্ঞান ও প্রতিভার মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতন্ত্রী মহল তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়াই ভালো মনে করেছিল। তাই তারা মাথায় অত্যন্ত গুরুতরভাবে আঘাত করেছিল। তাঁর সংজ্ঞা ফিরে আসেনি আর। ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় তিনি বিদায় নিলেন এদশের হাজার হাজার তাজা তরুণ প্রাণে দীপ্ত শপথের দাগ রেখে। সকলে কাঁদলো তাদের প্রিয় সাথীকে হারিয়ে। সকলেই শপথ নিলো তার অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে। এদেশের বুকে ইসলামী জীবন বিধান বাস্তবায়নের শপথে উজ্জীবিত হলো তরুণ তাজা হাজারো মুজাহিদরা।
.
বড় আশা ছিল সকলের- তিনি বড় হবেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্র হবেন। কিন্তু সংগ্রামী এ যুবক যে তার জীবনের উদ্দেশ্য অনেক আগেই ঠিক করে ফেলেছেন। জীবন জিজ্ঞাসার সঠিক উত্তর যে তিনি পেয়ে গেছেন। পেয়ে গেছেন চলার পথ তা কেউ জানত না। তাইতো তিনি লিখেছিলেন “জিন্দেগীর প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে আল্লাহর পথে সংগ্রাম করা। সংগ্রামের বন্ধুর পথে এগিয়ে চলার জন্যে মায়ের বাঁধন ছাড়া আমার আর কোনো বাঁধন নেই। বৃহত্তর কল্যাণের পথে সে বাঁধনকে ছিঁড়তে হবে। কঠিন শপথ নিয়ে আমার পথ আমি চলতে চাই। আমার মা এবং ভাইয়েরা আশা করে আছেন আমি একটা বড় কিছু হতে যাচ্ছি। কিন্তু মিথ্যা সে সব আশা। আমি বড় হতে চাইনে, ছোট থেকেই সার্থকতা পেতে চাই।” তিনি আরও লিখেছেন “সব বাধা তুচ্ছ করে গাঢ় তমস্যার বুক চিরে যেদিন আমরা পথ করে নিতে পারব সেদিন আমরা পৌঁছব এ পথের শেষ মঞ্জিলে, আর সেইদিনই হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন । যেদিন আমাদের চরিত্র হবে হজরত ইউসূফের (আ.) মত-কেবল সেই দিনই আসবে সাফল্য।” দারিদ্র্য এবং উজ্জল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা, কোনো কিছুই তাকে পিছু টানতে পারলো না। চলার পথের শেষ মঞ্জিলে পৌঁছে গেলেন শাহাদাতের এক অমীয় সুধা পান করে। সবুজ পাখী হয়ে উড়ে গেলেন মহান প্রভুর একান্ত সান্নিধ্যে। মাওলানা সৈয়দ মাহমুদ মোস্তফা আল মাদানী (যিনি শহীদ আ. মালেকের জানাজায় ইমামতি করেছিলেন) জানাজায় সমবেত মুসলিম জনতার উদ্দেশ্যে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করলেন, “ইসলামী আদর্শ বাস্তব রুপ দেওয়ার জন্যে কম্যুনিস্টদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে আব্দুল মালেক শাহাদাতের যে, দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন তা অনুসরণ করে এদেশের হাজার হাজার আ. মালেক ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য শহীদ হতে কুন্ঠা বোধ করবে না।” সেই বৃদ্ধ নেতার ভাষণ আজ সত্যে পরিণত হয়েছে। শহীদী মিছিল যতই বড় হচ্ছে ততই বেগবান হচ্ছে দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন : আর শাহাদাতের অদম্য বাসনা নিয়ে এগিয়ে আসছে হাজার হাজার তরুণ যুবক।
.
গোসাইবাড়ীর পাশেই সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা আর মায়া- মমতায় ভরা খোকসাবাড়ী গ্রাম। যেখানে ছিল শহীদ পরিবারের আদিবাস। এ গ্রামেরই শান্ত এক কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত আছেন শহীদ আব্দুল মালেক। ধন নয়, সম্মানন নয়, পার্থিব জীবনের কোন সফলতার নয়, জীবনের প্রকৃত সার্থকতা তিনি চেয়েছিলেন; চেয়েছিলেন শাহাদাতের মৃত্যু। আল্লাহ তার প্রার্থনা মঞ্জুর করেছেন। শহীদ আ. মালেক ভাই আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তার আরধ্য সংগ্রামের পতাকা রয়েছে আজো। সে পতাকা অবনমিত হবেনা কোনদিন । শহীদদের ইমাম শহীদ আ. মালেক ভাইয়ের রক্তের শপথে উদ্দীপ্ত তাঁর সংগ্রামী কাফেলার লক্ষ সাথীরা সে পতাকা বয়ে নিযে যাবে সাফল্যেও সুউচ্চ শিখরে। ইনশাআল্লাহ।
.
তার দেখানো স্বপ্ন, আগামী বিপ্লবের আকাঙ্খা আজো আন্দোলিত করে ৫৫ হাজার বর্গমাইলের এই জনপথকে ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের পথিকৃত। শহীদ আব্দুল মালেক আজো জেগে আছে সবুজ ঘাসের শিশিরে আমাদের বিশ্বাসের বিপ্লবে চিরকালের আশা জাগানিয়া বাতিঘর হয়ে ।
“মালেকের স্বপ্নেরা খেলা করে ঐ রাতের আঁধার কালিমা চিরে শিখারির বুলেটে আহত পাখি। থামেনা তো হায়, উড়ে যায় নীড়ে। চাঁদের টানে জোয়ার আসে। নদীর দু’কূল ধুয়ে হাজার প্রাণে মালেক আসে বিপ্লবী সুর ছুয়ে।” আমিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন