প্রত্যেক প্রানীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে
كُلُّ نَفْسٍ ذَآىِٕقَةُ الْمَوْتِপ্রত্যেক মানুষই মরনশীল । আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা, প্রতিটি জীবনকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে । হাশরের ময়দানে একত্রিত করা ও বিচার শুরু হওয়ার আগে কবরেই মানুষের সংক্ষিপ্ত হিসাব তথা পরীক্ষা শুরু হবে ।
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۖ فَمَن زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ ۗ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُورِ প্রত্যেক প্রাণীকে আস্বাদন করতে হবে মৃত্যু। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, তার কার্যসিদ্ধি ঘটবে। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়(সূরা আল ইমরান, আয়াত: ১৮৫)كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَنَبْلُوكُم بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً ۖ وَإِلَيْنَا تُرْجَعُونَ প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে । আমি তোমাদেরকে মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। -(সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ৩৫)أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِككُّمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنتُمْ فِي بُرُوجٍ مُّشَيَّدَةٍ ۗ وَإِن تُصِبْهُمْ حَسَنَةٌ يَقُولُوا هَٰذِهِ مِنْ عِندِ اللَّهِ ۖ وَإِن تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَقُولُوا هَٰذِهِ مِنْ عِندِكَ ۚ قُلْ كُلٌّ مِّنْ عِندِ اللَّهِ ۖ فَمَالِ هَٰؤُلَاءِ الْقَوْمِ لَا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ حَدِيثًاতোমরা যেখানেই থাক না কেন; মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই । যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও । বস্তুতঃ তাদের কোন কল্যাণ সাধিত হলে তারা বলে যে, এটা সাধিত হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যদি তাদের কোন অকল্যাণ হয়, তবে বলে, এটা হয়েছে তোমার পক্ষ থেকে, বলে দাও, এসবই আল্লাহর পক্ষ থেকে। পক্ষান্তরে তাদের পরিণতি কি হবে, যারা কখনও কোন কথা বুঝতে চেস্টা করে না (সূরা আন নিসা, আয়াত: ৭৮)يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَكُونُوا كَالَّذِينَ كَفَرُوا وَقَالُوا لِإِخْوَانِهِمْ إِذَا ضَرَبُوا فِي الْأَرْضِ أَوْ كَانُوا غُزًّى لَّوْ كَانُوا عِندَنَا مَا مَاتُوا وَمَا قُتِلُوا لِيَجْعَلَ اللَّهُ ذَٰلِكَ حَسْرَةً فِي قُلُوبِهِمْ ۗ وَاللَّهُ يُحْيِي وَيُمِيتُ ۗ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ হে ঈমাণদারগণ! তোমরা তাদের মত হয়ো না, যারা কাফের হয়েছে এবং নিজেদের ভাই বন্ধুরা যখন কোন অভিযানে বের হয় কিংবা জেহাদে যায়, তখন তাদের সম্পর্কে বলে, তারা যদি আমাদের সাথে থাকতো, তাহলে মরতোও না আহতও হতো না। যাতে তারা এ ধারণা সৃষ্টির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের মনে অনুতাপ সৃষ্টি করতে পারে। অথচ আল্লাহই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু দেন। তোমাদের সমস্ত কাজই, তোমরা যা কিছুই কর না কেন, আল্লাহ সবকিছুৃই দেখেন -(সূরা আল ইমরান, আয়াত: ১৫৬)أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ خَرَجُوا مِن دِيَارِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ الْمَوْتِ فَقَالَ لَهُمُ اللَّهُ مُوتُوا ثُمَّ أَحْيَاهُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى النَّاسِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা মৃত্যুর ভয়ে নিজেদের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন? অথচ তারা ছিল হাজার হাজার। তারপর আল্লাহ তাদেরকে বললেন মরে যাও। তারপর তাদেরকে জীবিত করে দিলেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের উপর অনুগ্রহকারী। কিন্তু অধিকাংশ লোক শুকরিয়া প্রকাশ করে না ।-(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২৪৩)
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ خَرَجُوا مِن دِيَارِهِمْ وَهُمْ أُلُوفٌ حَذَرَ الْمَوْتِ فَقَالَ لَهُمُ اللَّهُ مُوتُوا ثُمَّ أَحْيَاهُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ لَذُو فَضْلٍ عَلَى النَّاسِ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা মৃত্যুর ভয়ে নিজেদের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন? অথচ তারা ছিল হাজার হাজার। তারপর আল্লাহ তাদেরকে বললেন মরে যাও। তারপর তাদেরকে জীবিত করে দিলেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষের উপর অনুগ্রহকারী। কিন্তু অধিকাংশ লোক শুকরিয়া প্রকাশ করে না ।-(সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২৪৩)لْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِي تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مُلَاقِيكُمْ ۖ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلَىٰ عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ বলুন, তোমরা যে মৃত্যু থেকে পলায়নপর, সেই মৃত্যু অবশ্যই তোমাদের মুখামুখি হবে, অতঃপর তোমরা অদৃশ্য, দৃশ্যের জ্ঞানী আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন সেসব কর্ম, যা তোমরা করতে ।-(সূরা আল জুমুআহ, আয়াত: ৮)حَتَّىٰ إِذَا جَاءَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ رَبِّ ارْجِعُونِ
لَعَلِّي أَعْمَلُ صَالِحًا فِيمَا تَرَكْتُ ۚ كَلَّا ۚ إِنَّهَا كَلِمَةٌ هُوَ قَائِلُهَا ۖ وَمِن وَرَائِهِم بَرْزَخٌ إِلَىٰ يَوْمِ يُبْعَثُونَ যখন তাদের কারও কাছে মৃত্যু আসে, তখন সে বলেঃ হে আমার পালণকর্তা! আমাকে পুনরায় (দুনিয়াতে ) প্রেরণ করুন।যাতে আমি সৎকর্ম করতে পারি, যা আমি করিনি। কখনই নয়, এ তো তার একটি কথার কথা মাত্র। তাদের সামনে পর্দা আছে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত ।-(সূরা আল মুমিনুন, আয়াত: ৯৯-১০০)يَوْمَ يَرَوْنَ الْمَلَائِكَةَ لَا بُشْرَىٰ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُجْرِمِينَ وَيَقُولُونَ حِجْرًا مَّحْجُورًا যেদিন তারা ফেরেশতাদেরকে দেখবে, সেদিন অপরাধীদের জন্যে কোন সুসংবাদ থাকবে না এবং তারা বলবে, কোন বাধা যদি তা আটকে রাখতো ।-(সূরা আল ফুরকান, আয়াত: ২২)فَكَيْفَ إِذَا تَوَفَّتْهُمُ الْمَلَائِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَارَهُمْ ফেরেশতা যখন তাদের মুখমন্ডল ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করতে করতে প্রাণ হরণ করবে, তখন তাদের অবস্তা কেমন হবে ? -(সূরা মুহাম্মদ, আয়াত: ২৭)
وَلَوْ تَرَىٰ إِذْ يَتَوَفَّى الَّذِينَ كَفَرُوا ۙ الْمَلَائِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَارَهُمْ وَذُوقُوا عَذَابَ الْحَرِيقِ আর যদি তুমি দেখ, যখন ফেরেশতারা কাফেরদের জান কবজ করে; প্রহার করে, তাদের মুখে এবং তাদের পশ্চাদদেশে আর বলে, জ্বলন্ত আযাবের স্বাদ গ্রহণ করো ।-(সূরা আল আনফাল, আয়াত: ৫০) الَّذِينَ تَتَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ ظَالِمِي أَنفُسِهِمْ ۖ فَأَلْقَوُا السَّلَمَ مَا كُنَّا نَعْمَلُ مِن سُوءٍ ۚ بَلَىٰ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
فَادْخُلُوا أَبْوَابَ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا ۖ فَلَبِئْسَ مَثْوَى الْمُتَكَبِّرِينَ ফেরেশতারা তাদের জান এমতাঅবস্থায় কবজ করে যে, তারা নিজেদের উপর যুলুম করেছে। তখন তারা অনুগত্য প্রকাশ করবে যে, আমরা তো কোন মন্দ কাজ করতাম না। হঁ্যা নিশ্চয় আল্লাহ সববিষয় অবগত আছেন, যা তোমরা করতে।অতএব, জাহান্নামের দরজসমূহে প্রবেশ কর, এতেই অনন্তকাল বাস কর। আর অহংকারীদেরআবাসস্থল কতই নিকৃষ্ট । -(সূরা নাহল, আয়াত: ২৮-২৯)وَلَن يُؤَخِّرَ اللَّهُ نَفْسًا إِذَا جَاءَ أَجَلُهَا ۚ وَاللَّهُ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন ।-(সূরা মুনাফিকুন, আয়াত: ১১)يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ ارْجِعِي إِلَىٰ رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً হে প্রশান্ত মন, তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে ।-(সূরা আল ফজর, আয়াত: ২৭-২৮)الَّذِينَ تَتَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ طَيِّبِينَ ۙ يَقُولُونَ سَلَامٌ عَلَيْكُمُ ادْخُلُوا الْجَنَّةَ بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ ফেরেশতা যাদের জান কবজ করেন তাদের পবিত্র থাকা অবস্থায় । ফেরেশতারা বলেঃ তোমাদের প্রতি শাস্তি বর্ষিত হোক । তোমরা যা করতে, তার প্রতিদানে জান্নাতে প্রবেশ করো ।-(সূরা নাহল, আয়াত: ৩২)উপরের আয়াতসমূহে আল্লাহ্ সুবহানওয়া তা'আলা আমাদেরকে মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন এবং কাফিরদের মৃত্যুযন্ত্রণা ও মুমিনদের সুসংবাদও প্রকাশ করে দিচ্ছেন । তাকওয়াবানদের এ ভয়ের অন্যতম কারণ হলো, যারা কবরের সংক্ষিপ্ত বিচারে পার পেয়ে যাবে, তাদের পরবর্তী ধাপগুলো সহজ হয়ে যাবে । আর যারা কবরের সংক্ষিপ্ত বিচারে আটকে যাবে তাদের দুঃখ ও লাঞ্ছনার শেষ নেই। কবরের এ সংক্ষিপ্ত বিচার তথা প্রশ্নোত্তর পর্ব পরকালীন জীবনের ওপর বিশ্বাসের প্রথম স্তর ।
এ কারণেই যারা দুনিয়ার জীবনে আল্লাহকে বেশি ভয় করে তারা আখেরাতের প্রথম মঞ্জিল কবরের জীবন ও সংক্ষিপ্ত বিচারের সম্মুখীন হওয়াকেও বেশি ভয় করে ।
"হাদীস শরীফে রয়েছে যে, মানবাত্মা যখন দেহ পিঞ্জর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, তখন আকাশমন্ডল থেকে অতি উচ্চঃস্বরে তিনবার ডেকে প্রশ্ন করা হয়,
"হে আদমসন্তান ! বল, তুমি কি পৃথিবীকে পরিত্যাগ করে এসেছো, না পৃথিবী তোমাকে পরিত্যাগ করেছে ? আর তুমি কি পৃথিবীকে অর্জন করেছিলে, না পৃথিবী তোমাকে অর্জন করেছিল ? আর হে বান্দা ! পৃথিবী কি তোমাকে গ্রহন করেছিল, নাকি তুমিই আল্লাহতায়ালাকে বিস্মৃত হয়ে পৃথিবীকে গ্রহন করেছিলে ?"
.
আবার যখন গোসল দেওয়ার জন্য গোসলের জায়গায় রাখা হয় তখনও গগনমন্ডল থেকে তিনবার উচ্চঃস্বরে আওয়াজ দিয়ে বলা হয় -
.
"ওহে আদম সন্তান ! তোমার যেই শক্তিমান দেহবল্লরী এখন কোথায় ? আর কে-ই বা তোমাকে এত দুর্বল ও অসহায় করেছে ? আর তোমার সেই বাকপটু জিহ্বা আজ কোথায় ? এখন কেন তুমি নির্বাক হয়ে পড়ে রয়েছো; আর তোমার সেই তীব্র শ্রবণেন্দ্রীয় কর্ণদ্বয়কে এমন বধির করেছে কে ? আর কেইবা নিষ্ঠুরের মত তোমাকে স্বীয় বন্ধু-বান্ধব থেকে পৃথক করে দিয়েছে ?"
.
তারপর যখন কাফন পরানো হয়, সেই সময়েও আকাশমন্ডল থেকে তিনবার অতি উচ্চঃস্বরে ডাক দিয়ে বলা হয় -
.
"হে আদম সন্তান ! তুমি যদি বেহেশতি বান্দা হয়ে থাক, তাহলে সুসংবাদের কথাই বটে, কিন্তু তুমি যদি জাহান্নামী বান্দা হয়ে থাক, তাহলে তোমার জন্য শত আক্ষেপ । আর হে আদম সন্তান ! তোমার প্রতি যদি আল্লাহপাক সন্তুষ্ট ও রাজী থাকেন, তবে অতি উত্তম; কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যদি তোমার প্রতি ক্রোধান্বিত হয়ে থাকেন, তবে এর পরিণাম অত্যান্ত ভয়াবহ ।" আর তৃতীয়বার বলা হয়, "ওহে আদম সন্তান ! তুমি এখন এক দুর্গম ও কন্টকাকীর্ণ পথে যাত্রা করবে । তুমি চিন্তা করেছ কি ? আর সেই দুর্গম পথের সম্বল তোমার আছে কি ? আজ তুমি সুখ-সজ্জা পরিত্যাগ করে অতি বিপদ-সঙ্কুল ভয়ঙ্কার স্হানে গমন করবে, কিন্তু কখনও আর ফিরে আসতে পারবে না ।"
.
আবার যখন মৃতব্যাক্তিকে খাটের ওপর রাখা হয়, তখন পূর্বের ন্যায় তিনবার ঘোষণা করা হয় -
.
"ওহে আদম সন্তান ! যদি তুমি পুণ্যবান হয়ে থাকো, তাহলে তোমার জন্য সুসংবাদ । আর দুষ্কর্মশীল হলে তোমার উদ্দেশ্যে রয়েছে দুঃসংবাদ; কিন্তু তুমি যদি আল্লাহপাকের রেজামন্দি হাসিল করে থাক এবং তওবা করে থাক, তাহলে খুব উত্তম করেছো । এছাড়া তোমার পরিণাম অত্যান্ত মন্দ হবে ।"
.
অতঃপর যখন খাটকে জানাযার নামাযের জন্য সারিবদ্ধ কাতারের সম্মুখে রাখা হয়, তখন আবার আগের মত ঘোষণা করা হয় -
.
"হে আদম সন্তান ! তুমি তোমার জীবনের ভাল-মন্দ যা কিছু সম্পন্ন করেছ, এখন সবকিছু প্রত্যক্ষ করবে । যদি সৎভাবে পূন্য সঞ্চয়ের মধ্য দিয়ে নিজ জীবনকে অতিবাহিত করে থাক, তবে তোমার জন্য রয়েছে সুসংবাদ; কিন্তু যদি মন্দভাবে পাপের স্রোতে গা ভাসিয়ে জীবনকে অতিবাহিত করে থাক, তবে তোমার ধ্বংস অবধারিত ।"
অতঃপর মৃত ব্যাক্তিকে যখন কবরের পাশে রাখা হয়, তখন কবর তাকে তিনবার প্রশ্ন করে -
.
"ওহে আদম সন্তান ! একদিন আমার ওপর দিয়ে পরমানন্দে হেসে-খেলে বেড়িয়েছো, এখন কেঁদে কেঁদে আমার অভ্যন্তরে প্রবেশ কর । আর এক কালে আমার পৃষ্ঠদেশে কত আনন্দ ও উৎফুল্ল হৃদয়ে সময় অতিবাহিত করেছিলে, কিন্তু এখন চিন্তিতাবস্হায় আমার মধ্যে প্রবেশ কর, আর এককালে তুমি বেশ বাকপটু ছিলে কিন্তু এখন নির্বাক ও বিমর্ষ চিত্তে আমার অভ্যন্তুরে দাখিল হও।"
.
তারপর দাফন কাফন সম্পাদন করে লোকজন যখন নিজ নিজ গন্তব্যস্হলে চলে যায়, তখন পরম কৌশলী আল্লাহ তায়ালা বলেন -
.
"ওহে আমার বান্দা ! আজ তুমি নির্জন কবরের মাঝে ঘোর অন্ধকার বন্ধু-বান্ধব ও দোসরহীন একা একা পড়ে রয়েছ। আত্মীয়-স্বজন সকলেই তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে ; কিন্তু একসময় তুমি তাদের জন্য আমার বিধি নিষেধের গন্ডি অতিক্রম করে পাপকাজে পরিলিপ্ত হয়েছিলে এবং আমাকে ভুলে গিয়েছিলে ।
কবরের সংক্ষিপ্ত বিচার: মৃত্যুর পর মৃতব্যক্তিকে যখন প্রথমে কবরে রাখা হবে, তখন মুনকার-নকির নামক অপরিচিত, অদ্ভুত ও বিকট আকৃতির দু'জন ফেরেশতা কবরে আসবেন । যাদেরকে দেখলে মুমিন ব্যক্তি ভয় পাবে না । কিন্তু অপরাধী ব্যক্তিরা অস্বাভাবিক ভয় পাবে । সেখানে প্রশ্নোত্তর মূলক সংক্ষিপ্ত বিচার শুরু হবে । যারা প্রশ্নের উত্তরগুলো যথাযথ দিতে পারবে, তারাই সফলকাম। আর যারা সংক্ষিপ্ত বিচারালয়ের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না , তারা ব্যর্থ ।
মুনকার-নকির কবরে এসে মৃতব্যক্তিকে শোয়া থেকে উঠিয়ে বসাবে। তারপর ধারাবাহিকভাবে ৩টি প্রশ্ন করবে-
প্রথম প্রশ্ন
مَنْ رَبُّكَ ؟
মান রাব্বুকা ?
আপনার প্রভু কে ?
প্রশ্নের উত্তর
যদি সে ব্যক্তি নেককার হয় তবে বলবে-
رَبِّى الله
আল্লাহ আমার প্রভু ।
আর যদি সে মন্দ লোক হয় তবে প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারবে না ।
দ্বিতীয় প্রশ্ন
مَنْ دِيْنُكَ ؟
মান দ্বীনুকা ?
আপনার দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা কী ?
প্রশ্নের উত্তর
যদি সে ব্যক্তি নেককার হয় তবে বলবে-
دِيْنِىَ الْاِسْلَام
ইসলাম আমার জীবন ব্যবস্থা বা দ্বীন।
আর যদি সে মন্দ লোক হয় তবে প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারবে না।
তৃতীয় প্রশ্ন
مَنْ هَذَا الرَّجُل؟
মান হাজার রাজুল?
এই ব্যক্তি কে?
প্রশ্নের উত্তর
যদি সে ব্যক্তি নেককার হয় তবে বলবে-
نَبِيُّنَا مَحَمَّدُ رَّسُوْلُ الله
তিনি আমাদের নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আর যদি সে মন্দ লোক হয় তবে প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারবে না। সে বলবে আমি এ ব্যক্তিকে চিনি না। (নাউজুবিল্লাহ)
সংক্ষিপ্ত বিচারের ফলাফল: যারা এ প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারবে। তাদের কবরের সঙ্গে জান্নাতের যোগাযোগ স্থাপন করে দেয়া হবে। জান্নাতের হাওয়া এবং সুঘ্রাণ তাদের কবরে আসতে থাকবে। তাদেরকে বলা হবে-
‘এখন তুমি আরামে ঘুমাও। নতুন বিবাহ করা দম্পতির মতো। যারা মনের সুখে ঘুমোতে থাকে।' এভাবে তারা কিয়ামত অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এক ঘুমে পুরো সময় পার করে দেবে।
আর যারা কবরের সংক্ষিপ্ত বিচারালয়ের ৩টি প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হবে তাদের কর্ম অনুযায়ী কিয়ামত অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত শাস্তি ভোগ করতে থাকবে।
পরিশেষে... কবরের সফলতা লাভে পবিত্র কোরআনের সুসংবাদ গ্রহণ করাই মুমিন মুসলমানের একান্ত কর্তব্য। আল্লাহ তায়ালা সংক্ষিপ্ত বিচারালয়ে মুনকার-নকিরের প্রশ্নের উত্তর সহজ হওয়ার বিষয়গুলো উল্লেখ করেন বলেন-
يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ ۖ وَيُضِلُّ اللَّهُ الظَّالِمِينَ ۚ وَيَفْعَلُ اللَّهُ مَا يَشَاءُ
‘যারা শ্বাস্বত বাণীতে (কালেমায়) বিশ্বাসী, আল্লাহ তাদের দুনিয়া এবং আখেরাতে এ কালেমা তথা ঈমানের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখেন।' (সূরা ইবরাহিম : আয়াত ২৭)
হে বান্দা ! আজ এই দুর্দিনে তোমার প্রতি আমি অত্যান্ত দয়ালু হবো ও মেহেরবান হবো । যা দেখে আমার সৃষ্ট জীবসকল বড়ই আশ্চার্যান্বিত হয়ে পড়বে । হে বান্দা ! জেনে রাখো, মাতা সন্তানের প্রতি কতটুকু স্নেহশীল ও মমতাময়ী হয়ে থাকে ।
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে পরকালের সংক্ষিপ্ত বিচারালয়ে সফল হওয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত বিচার-ফয়সালায় কামিয়াবি হওয়ার তাওফিক দান করুন। পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন। আমি আমার বান্দার জন্য তদাপেক্ষাও অধিক স্নেহশীল ও দয়ালু । আল্লাহ্ আমাদের আত্মাকে পবিত্র করুন এবং আপনার সন্তোষভাজন হওয়ার যোগ্যতা দান করুন । আল্লাহুম্মা আমিন ।
"হাদীস শরীফে রয়েছে যে, মানবাত্মা যখন দেহ পিঞ্জর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, তখন আকাশমন্ডল থেকে অতি উচ্চঃস্বরে তিনবার ডেকে প্রশ্ন করা হয়,
"হে আদমসন্তান ! বল, তুমি কি পৃথিবীকে পরিত্যাগ করে এসেছো, না পৃথিবী তোমাকে পরিত্যাগ করেছে ? আর তুমি কি পৃথিবীকে অর্জন করেছিলে, না পৃথিবী তোমাকে অর্জন করেছিল ? আর হে বান্দা ! পৃথিবী কি তোমাকে গ্রহন করেছিল, নাকি তুমিই আল্লাহতায়ালাকে বিস্মৃত হয়ে পৃথিবীকে গ্রহন করেছিলে ?"
.
আবার যখন গোসল দেওয়ার জন্য গোসলের জায়গায় রাখা হয় তখনও গগনমন্ডল থেকে তিনবার উচ্চঃস্বরে আওয়াজ দিয়ে বলা হয় -
.
"ওহে আদম সন্তান ! তোমার যেই শক্তিমান দেহবল্লরী এখন কোথায় ? আর কে-ই বা তোমাকে এত দুর্বল ও অসহায় করেছে ? আর তোমার সেই বাকপটু জিহ্বা আজ কোথায় ? এখন কেন তুমি নির্বাক হয়ে পড়ে রয়েছো; আর তোমার সেই তীব্র শ্রবণেন্দ্রীয় কর্ণদ্বয়কে এমন বধির করেছে কে ? আর কেইবা নিষ্ঠুরের মত তোমাকে স্বীয় বন্ধু-বান্ধব থেকে পৃথক করে দিয়েছে ?"
.
তারপর যখন কাফন পরানো হয়, সেই সময়েও আকাশমন্ডল থেকে তিনবার অতি উচ্চঃস্বরে ডাক দিয়ে বলা হয় -
.
"হে আদম সন্তান ! তুমি যদি বেহেশতি বান্দা হয়ে থাক, তাহলে সুসংবাদের কথাই বটে, কিন্তু তুমি যদি জাহান্নামী বান্দা হয়ে থাক, তাহলে তোমার জন্য শত আক্ষেপ । আর হে আদম সন্তান ! তোমার প্রতি যদি আল্লাহপাক সন্তুষ্ট ও রাজী থাকেন, তবে অতি উত্তম; কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যদি তোমার প্রতি ক্রোধান্বিত হয়ে থাকেন, তবে এর পরিণাম অত্যান্ত ভয়াবহ ।" আর তৃতীয়বার বলা হয়, "ওহে আদম সন্তান ! তুমি এখন এক দুর্গম ও কন্টকাকীর্ণ পথে যাত্রা করবে । তুমি চিন্তা করেছ কি ? আর সেই দুর্গম পথের সম্বল তোমার আছে কি ? আজ তুমি সুখ-সজ্জা পরিত্যাগ করে অতি বিপদ-সঙ্কুল ভয়ঙ্কার স্হানে গমন করবে, কিন্তু কখনও আর ফিরে আসতে পারবে না ।"
.
আবার যখন মৃতব্যাক্তিকে খাটের ওপর রাখা হয়, তখন পূর্বের ন্যায় তিনবার ঘোষণা করা হয় -
.
"ওহে আদম সন্তান ! যদি তুমি পুণ্যবান হয়ে থাকো, তাহলে তোমার জন্য সুসংবাদ । আর দুষ্কর্মশীল হলে তোমার উদ্দেশ্যে রয়েছে দুঃসংবাদ; কিন্তু তুমি যদি আল্লাহপাকের রেজামন্দি হাসিল করে থাক এবং তওবা করে থাক, তাহলে খুব উত্তম করেছো । এছাড়া তোমার পরিণাম অত্যান্ত মন্দ হবে ।"
.
অতঃপর যখন খাটকে জানাযার নামাযের জন্য সারিবদ্ধ কাতারের সম্মুখে রাখা হয়, তখন আবার আগের মত ঘোষণা করা হয় -
.
"হে আদম সন্তান ! তুমি তোমার জীবনের ভাল-মন্দ যা কিছু সম্পন্ন করেছ, এখন সবকিছু প্রত্যক্ষ করবে । যদি সৎভাবে পূন্য সঞ্চয়ের মধ্য দিয়ে নিজ জীবনকে অতিবাহিত করে থাক, তবে তোমার জন্য রয়েছে সুসংবাদ; কিন্তু যদি মন্দভাবে পাপের স্রোতে গা ভাসিয়ে জীবনকে অতিবাহিত করে থাক, তবে তোমার ধ্বংস অবধারিত ।"
অতঃপর মৃত ব্যাক্তিকে যখন কবরের পাশে রাখা হয়, তখন কবর তাকে তিনবার প্রশ্ন করে -
.
"ওহে আদম সন্তান ! একদিন আমার ওপর দিয়ে পরমানন্দে হেসে-খেলে বেড়িয়েছো, এখন কেঁদে কেঁদে আমার অভ্যন্তরে প্রবেশ কর । আর এক কালে আমার পৃষ্ঠদেশে কত আনন্দ ও উৎফুল্ল হৃদয়ে সময় অতিবাহিত করেছিলে, কিন্তু এখন চিন্তিতাবস্হায় আমার মধ্যে প্রবেশ কর, আর এককালে তুমি বেশ বাকপটু ছিলে কিন্তু এখন নির্বাক ও বিমর্ষ চিত্তে আমার অভ্যন্তুরে দাখিল হও।"
.
তারপর দাফন কাফন সম্পাদন করে লোকজন যখন নিজ নিজ গন্তব্যস্হলে চলে যায়, তখন পরম কৌশলী আল্লাহ তায়ালা বলেন -
.
"ওহে আমার বান্দা ! আজ তুমি নির্জন কবরের মাঝে ঘোর অন্ধকার বন্ধু-বান্ধব ও দোসরহীন একা একা পড়ে রয়েছ। আত্মীয়-স্বজন সকলেই তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে ; কিন্তু একসময় তুমি তাদের জন্য আমার বিধি নিষেধের গন্ডি অতিক্রম করে পাপকাজে পরিলিপ্ত হয়েছিলে এবং আমাকে ভুলে গিয়েছিলে ।
কবরের সংক্ষিপ্ত বিচার: মৃত্যুর পর মৃতব্যক্তিকে যখন প্রথমে কবরে রাখা হবে, তখন মুনকার-নকির নামক অপরিচিত, অদ্ভুত ও বিকট আকৃতির দু'জন ফেরেশতা কবরে আসবেন । যাদেরকে দেখলে মুমিন ব্যক্তি ভয় পাবে না । কিন্তু অপরাধী ব্যক্তিরা অস্বাভাবিক ভয় পাবে । সেখানে প্রশ্নোত্তর মূলক সংক্ষিপ্ত বিচার শুরু হবে । যারা প্রশ্নের উত্তরগুলো যথাযথ দিতে পারবে, তারাই সফলকাম। আর যারা সংক্ষিপ্ত বিচারালয়ের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না , তারা ব্যর্থ ।
মুনকার-নকির কবরে এসে মৃতব্যক্তিকে শোয়া থেকে উঠিয়ে বসাবে। তারপর ধারাবাহিকভাবে ৩টি প্রশ্ন করবে-
প্রথম প্রশ্ন
مَنْ رَبُّكَ ؟
মান রাব্বুকা ?
আপনার প্রভু কে ?
প্রশ্নের উত্তর
যদি সে ব্যক্তি নেককার হয় তবে বলবে-
رَبِّى الله
আল্লাহ আমার প্রভু ।
আর যদি সে মন্দ লোক হয় তবে প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারবে না ।
দ্বিতীয় প্রশ্ন
مَنْ دِيْنُكَ ؟
মান দ্বীনুকা ?
আপনার দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা কী ?
প্রশ্নের উত্তর
যদি সে ব্যক্তি নেককার হয় তবে বলবে-
دِيْنِىَ الْاِسْلَام
ইসলাম আমার জীবন ব্যবস্থা বা দ্বীন।
আর যদি সে মন্দ লোক হয় তবে প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারবে না।
তৃতীয় প্রশ্ন
مَنْ هَذَا الرَّجُل؟
মান হাজার রাজুল?
এই ব্যক্তি কে?
প্রশ্নের উত্তর
যদি সে ব্যক্তি নেককার হয় তবে বলবে-
نَبِيُّنَا مَحَمَّدُ رَّسُوْلُ الله
তিনি আমাদের নবি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আর যদি সে মন্দ লোক হয় তবে প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারবে না। সে বলবে আমি এ ব্যক্তিকে চিনি না। (নাউজুবিল্লাহ)
সংক্ষিপ্ত বিচারের ফলাফল: যারা এ প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারবে। তাদের কবরের সঙ্গে জান্নাতের যোগাযোগ স্থাপন করে দেয়া হবে। জান্নাতের হাওয়া এবং সুঘ্রাণ তাদের কবরে আসতে থাকবে। তাদেরকে বলা হবে-
‘এখন তুমি আরামে ঘুমাও। নতুন বিবাহ করা দম্পতির মতো। যারা মনের সুখে ঘুমোতে থাকে।' এভাবে তারা কিয়ামত অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এক ঘুমে পুরো সময় পার করে দেবে।
আর যারা কবরের সংক্ষিপ্ত বিচারালয়ের ৩টি প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হবে তাদের কর্ম অনুযায়ী কিয়ামত অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত শাস্তি ভোগ করতে থাকবে।
পরিশেষে... কবরের সফলতা লাভে পবিত্র কোরআনের সুসংবাদ গ্রহণ করাই মুমিন মুসলমানের একান্ত কর্তব্য। আল্লাহ তায়ালা সংক্ষিপ্ত বিচারালয়ে মুনকার-নকিরের প্রশ্নের উত্তর সহজ হওয়ার বিষয়গুলো উল্লেখ করেন বলেন-
يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ ۖ وَيُضِلُّ اللَّهُ الظَّالِمِينَ ۚ وَيَفْعَلُ اللَّهُ مَا يَشَاءُ
‘যারা শ্বাস্বত বাণীতে (কালেমায়) বিশ্বাসী, আল্লাহ তাদের দুনিয়া এবং আখেরাতে এ কালেমা তথা ঈমানের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাখেন।' (সূরা ইবরাহিম : আয়াত ২৭)
হে বান্দা ! আজ এই দুর্দিনে তোমার প্রতি আমি অত্যান্ত দয়ালু হবো ও মেহেরবান হবো । যা দেখে আমার সৃষ্ট জীবসকল বড়ই আশ্চার্যান্বিত হয়ে পড়বে । হে বান্দা ! জেনে রাখো, মাতা সন্তানের প্রতি কতটুকু স্নেহশীল ও মমতাময়ী হয়ে থাকে ।
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে পরকালের সংক্ষিপ্ত বিচারালয়ে সফল হওয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত বিচার-ফয়সালায় কামিয়াবি হওয়ার তাওফিক দান করুন। পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন। আমি আমার বান্দার জন্য তদাপেক্ষাও অধিক স্নেহশীল ও দয়ালু । আল্লাহ্ আমাদের আত্মাকে পবিত্র করুন এবং আপনার সন্তোষভাজন হওয়ার যোগ্যতা দান করুন । আল্লাহুম্মা আমিন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন