রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আমার মাথায় গালে হাত বুলানো সেই আদর ও দোয়া হাসিমাখা মুখ কখনো ভুলবো না

আমার মাথায় গালে হাত বুলানো সেই আদর ও দোয়া হাসিমাখা মুখ কখনো ভুলবো না
يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ ارْجِعِي إِلَىٰ رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً فَادْخُلِي فِي عِبَادِي وَادْخُلِي جَنَّتِي
"হে প্রশান্ত আত্মা ! চলো তোমার রবের দিকে, এমন অবস্থায় যে তুমি ( নিজের শুভ পরিণতিতে ) সন্তুষ্ট ( এবং তোমরা রবের প্রিয়পাত্র ৷ শামিল হয়ে যাও আমার (নেক) বান্দাদের মধ্যে । এবং প্রবেশ করো আমার জান্নাতে ৷ সুরা ফজর: ২৭-৩০
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ
প্রত্যেক প্রানীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে । কার কতো বয়স কিংবা তিনি খুউব আল্লাহ ওয়ালা ছিলেন বা প্রচন্ড নাস্তিক, এইটা বিষয় নয় । কখন, কার, কিভাবে মৃত্যু হবে সেটা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা নির্ধারণ করেন । আল্লাহর সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোনো সাধ্য কারো নেই । চির সত্য বিধানুযায়ী ১০৪ বছর বয়সে সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমেদ্বীন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমীর, বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক)-এর সম্মানিত চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও উপমহাদেশের লাখো লাখো আলেমের সম্মানিত ওস্তাদ, শায়খুল ইসলাম, আল্লামা শাহ আহমদ শফী রাহিমাহুল্লাহ মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ ছাত্র আলেম উলামা, ভক্ত মুরীদানকে কাদিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে চির নিদ্রায় চলে গেলেন । انا لله وانا اليه راجعون
আজ শুধু স্মৃতিচারণ । একজন আলেম হারানো কতোটা বেদনার তা আলেমদের প্রতি যাদের হৃদয়ে মুহাব্বত আছে তারাই অনুভব করতে পারে । আর তিনি তো সাধারণ আলেম নন, তিনি ছিলেন রাহবার, বাংলাদেশী ইসলাম প্রিয় তাওহিদী জনতার মাথার উপর ছাতার মতো । তিনি ক্বওমী কিংবা আলিয়ার হোক ত্বালিবে ইলমের কাছে একজন আলেম শুধুই সম্মানের অতঃপর চুড়ান্ত সম্মানেরই হয়ে থাকে । আমাদের সকল ওস্তাদগণ আমাদের মাথার তাজ । একজন আলেম তিনি যে প্লাটফর্মেরই হোক না কেন -ওনারা সবাই সম্মানিত ।
আজ খুব মনে পড়ছে বীর চট্রলার কৃতী সন্তান, লাখো আলেমের উস্তাদ আল্লামা শফী হুজুরের সাথে প্রথম সাক্ষাতের দিনের কথা । খুব বেশীদিন আগের কথা নয়, স্মৃতিতে মনে হচ্ছে এইতো সেদিন কিন্তু কতো দ্রুতই দিন মাস বছর চলে গেছে । গত ২০১২ সালের মে মাসের শেষের দিকে -জমিয়াতুল মুফাসসিরীন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা কে এম আব্দুস সোবহান, ছারছিনা দরবার শরীফের ছোট পীর সাহেব মাওলানা শাহ আরীফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, মিরেরশরাই দরবার শরীফের পীর সাহেব মাওলানা আব্দুল মোমেন নাছেরী, মাওলানা মোশারফ হোসাইন, হাফেজ মোহিবুল্লাহ আযাদ আমরা ক'জন সুহৃদ ভাইবন্ধু হাটহাজারী মাদরাসার প্রাঙ্গনে পৌছুলাম । ২৬ মে শনিবার দুপুরে আমাদের রাহবার ছিলেন চট্রগ্রামের মুহিবুল্লাহ ভাই । যাবার আগে আমাদের মনে অনেক কিছু চলছিলো, যে ওনারা আমাদেরকে স্বাভাবিকভাবে নিবেন কি না, বা কে কি মনে করে, হুজুরের খাদেমরা কেমন ব্যবহার করে এসব আমরা ভাবছিলাম । সেই সময় ট্রাইব্যুনালে আব্বার মামলা চলছে তাই নানান রকম ভাবনা ভেবে আমরা কিছুটা আশংকায় ছিলাম, কিন্তু আমাদের সব ভুল ভেঙ্গে গেলো, বিশেষ করে ইয়াসীন, নুমান, এনামুল, মনসুর নামের হুজুরের খাদেমদের ব্যাবহার ও আপ্যায়ন সত্যিই আমাদের শংকা কাটিয়ে দিয়েছে । তারা পুরো মাদরাসা আমাদের ঘুরে দেখালো । দারসে হাদীসের সেই জান্নাতি ক্লাসরুমটিও দেখলাম । বেশীক্ষন অপেক্ষা করতে হয়নি, চায়ে চুমুক দিতে দিতেই আল্লামা শফী হুজুরের নুরানী চেহারা দেখা গেলো । সাক্ষাত রুমে প্রবেশ করে তিনিই প্রথম السلام عليكم ورحمة الله বলেই প্রশ্ন করলেনঃ সাঈদীর বেটা কোনজন ? যার যার মতো সবাই দাড়িয়ে সালামের উত্তর দিলো আমি সামনে এগিয়ে গেলাম, মুসাফা করে বললাম-আমি, কেমন আছেন হুজুর ? তিনি আলহামদুলিল্লাহ বলে জিজ্ঞাসা করলেনঃ মাওলানা কেমন আছেন ? আমি জানালাম সুস্থ আছেন, আলহামদুলিল্লাহ ।
বয়সের ভারে নুহ্য হওয়া কিন্তু পাহাড়ের মতো অটল ব্যক্তিত্বের সামনে দাড়িয়ে আছি । জ্ঞানের সমুদ্র । গত ৮০ বছর যিনি লাখো লাখো শিক্ষার্থীকে পবিত্র হাদীসের শিক্ষা দিয়েছেন । আমি খুব অসহায় বোধ করছিলাম কারন দুপুরে তাঁর বিশ্রামের সময় অথচ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে এসেছে শুনে আরামের বিছানা ছেড়ে উঠে এসেছিলেন । কস্ট দেবার জন্য ক্ষমা চেয়েছি জবাবে তিনি যে অমায়িক হাসি দিয়েছিলেন তা কোনদিন ভুলবার নয় । হাসির মাঝে অভয় ছিলো, ছিলো আশ্বাস এবং নির্ভরতা । আমার সঙ্গী সাথীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম । সেদিন সাহস করে অনেক কথা বলেছিলাম-জেনেও ছিলাম অনেক কিছু । বিদায় বেলা মাথায়-গালে হাত বুলিয়ে আদর করে দোয়া করে বলেছিলেনঃ "আল্লামা সাঈদী উদার মনের মানুষ । তিনি ক্বওমী আর আলিয়াকে আলাদা চোখে দেখতেন না । মাওলানার কিছু হবে না । তিনি আবারও কুরআনের ময়দানে ফিরে আসবেন, ইনশাআল্লাহ । আন্তরিক হাসিমাখা মুখে বিদায় দিলেন, বললেন "আবার এসো" ।

আবারও এলাম হুজুর কিন্তু আপনাকে দেখতে পেলাম না ! জানাজায় উপস্থিত হলাম ।
বাতিলের আতংক, শাহবাগ নাস্তিক্য বিরোধী আন্দোলনের মহানায়ক পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেলেন ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় । আমাকে ফোন করলেন মাওলানা আবুল কালাম আযাদ আজহারী, আবুল কালাম আজাদ কিশোরগঞ্জ তারা জানাজায় যেতে চায় । শেষ মেশ ঠিক হলো ডঃ আবুল কালাম আযাদ বাশার ভাইএর নেতৃত্বে আমরা
হাটহাজারী যাবো । কথা মতো রাত ১২টায় একটা গাড়ি নিয়ে রওনা হলাম । পৌঁছেছিলাম ভোরবেলায় ৷ তখনো শাইখুল ইসলামের মরদেহ হাটহাজারী পৌছেনি ৷
ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মাঠ মানুষে ভরপুর ।
আল্লামা শাহ আহমদ শফী’র নামাজে জানাজা’য় কত মানুষের জমায়েত হয়েছে ?
এর কোন হিসাব কারও কাছে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না ।
ফজরের নামাজের পর হতে দুপুর দুইটা পর্যন্ত মানুষের যে স্রোত চারিদিক থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসা মুখী ছিল সেই স্রোত আবার ফিরে যেতে সময় লেগেছে রাত প্রায় বারোটা ।
শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রাহিমাহুল্লাহর জানাযায় যে লাখো মানুষের ঢল নেমেছিলো, সেটা তো বলা বাহুল্য ৷ বাংলাদেশের প্রায় সকল প্রান্তের মানুষকে দেখা গেছে বাস, মাইক্রোবাস, জীপ, প্রাইভেট কার, মটর সাইকেল অর্থাৎ যে যেভাবে পেরেছে হাজির হয়েছে কালকের জানাজায় । সারাদেশ থেকে দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ যেভাবে শাইখুল ইসলামকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য হাটহাজারীতে একত্রিত হয়েছিল, তাতে ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় জানাযায় পরিণত হয়েছে ৷ হযরতের প্রতি ব্যক্তিগত মুহাব্বাত ও ভালোবাসার তাগিদ থেকেই জানাজায় অংশগ্রহণ করার অভিপ্রায়ে লাখো মানুষের সাথে আমিও ছুটে গেছি হাটহাজারী ৷
আমরা কিছুক্ষন মসজিদে আশ্রয় নিলাম । ৮ তলা মসজিদ তখন ভরে যাচ্ছে আর গরমের তীব্রতাও যেন বেড়েই চলছে । এরই মাঝে মাইকে তীক্ষ্ণ আওয়াজে নানান ঘোষণা এবং ফু । আমি ভাবছি এই উত্তাল স্রোতস্বীনি জানাজার শৃংঙ্খলা রক্ষা করার যেমন উপায় নাই তেমনি বিশ্রামের কোন উপায় ছিলো নাই । ওই সময় আল্লাহ যেন ফেরেস্তা পাঠিয়ে আমাদেরকে সাহায্য করলেন । কোত্থেকে তিনজন ছাত্র নাজমুল, সাকিব, ইমতিয়াজ এসে আমাদেরকে অন্য এক বিল্ডিংএ নিয়ে গেলেন । বিশ্রাম এবং গোসলের ব্যবস্থা করলেন এরপর সাড়ে ১২টার দিকে আমাদের সবার জন্য দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয় । আলহামদুলিল্লাহ ! তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই । সেখানে যোগ দেন দূর থেকে আগত এবং স্থানীয় আরও কয়েকজন । তাদের কাছ থেকে গত কয়েকদিন যাবত হাটহাজারী মাদ্রাসার চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও ঘটনাবলীর বিশদ বিবরণ শুনলাম । ভিন্নমতের কয়েকজন ছাত্রের ভর্তি বাতিলকে কেন্দ্র করে কিভাবে সামান্য থেকে এতবড় স্মতস্ফূর্ত আন্দোলনের সূচনা হলো তা শুনে খুব অবাক এবং আলোড়িত হলাম । গত ১৬ সেপ্টেম্বর আল্লামা আহমদ শফীর পদত্যাগ এবং তার ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কারসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে দারুল উলুম হাটহাজারীর ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করে । দুপুর থেকে এ আন্দোলন শুরু হয়, রাত্রে আনাস মাদানীকে বহিষ্কার করা হয় এবং পরদিন আল্লামা শফী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন । স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করে । ছাত্ররা সরকারের এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যায় । অত্যান্ত দুঃখজনক যে, আল্লামা আহমদ শফী পদত্যাগ করলে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয় ।
পিতা বরকত আলী ও মমতাময়ী মা মেহেরুন্নেছার ঘর আলোকিত করে জন্মেছিলেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার পাখিয়ারটিলা গ্রামে ১৯১৬ সালে । সাধারণ পরিবারের সন্তান, একজন নিষ্ঠাবান আলেম, জ্ঞানতাপস, ছাত্রবান্ধব শিক্ষক কিভাবে তিলে তিলে হাটহাজারী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ণধার এবং তারপর সারাদেশের মানুষের আলোচিত প্রত্যাশিত ইসলামী নেতৃত্বের প্রতিক হয়ে গেলেন তা সত্যিই অভাবনীয় ।
প্রত্যেক মানুষেরই উত্থান এবং আলোকময় অবদান ও তাঁকে নিয়ে সমলোচনা থাকে । আল্লামা আহমদ শফী’রও থাকবে । কিন্তু তাঁর সম্পর্কে আমরা আসলে কতটুকু জানি ? কেন তাঁর কাছে আমাদের এত প্রত্যাশা জমা হয়েছে ? না জানলে আমরা সত্যের উপর দাঁড়িয়ে নিজ অবস্থান নির্ধারণ করতে পারবো না । এরপর কী ?
কওমী ওলামা সমাজ কী ঐক্যবদ্ধ থাকবে নাকি বিভেদের নতুন ডাল পালা মেলবে ? অতীত আমাদের কী বলে । ইতিহাস বলে বিপ্লবের পর প্রতি বিপ্লব একই সূত্রে গাঁথা ।

মাওলানা শফী’র প্রস্থানের পর একটি ইতিহাসের সমাপ্তি হল । জানাযার নামাজের প্রস্তুতি চলছে । আমার আরো একটি ঐতিহাসিক জানাজায় উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হলো । যোহরের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদের নিচ তলায় আবার ফিরে এলাম । সেইসময় হেলিকপ্টারের আওয়াজ শুনলাম পরে জেনেছি স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এসেছেন । ভেবেছিলাম অনেক এমপি মন্ত্রী থাকবেন । তা হয়নি তবে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সেতু মন্ত্রী এবং আরো অনেকে । উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, শহিদী কাফেলা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল সালাউদ্দীন আইয়ুবী, জননেতা শাহজাহান চৌধুরী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ ও আলেম উলামা উস্তাদ এবং লাখো ছাত্র ।
জানাযা নামাজ শেষে দেখা পেলাম তিনজন আল্লামা সাঈদী ভক্তের । সৌদি প্রবাসী মাহমুদ এবং সাতকানিয়ার রিয়াদ ও রেদওয়ান । তারা আমাদেরকে নিরাপত্তার সাথে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিলো । লাখো মানুষের ভিড়ের ধাক্কা ধাক্কি আমাদেরকে স্পর্শ করেনি । গাড়ির কাছে ফিরতে ফিরতে অনেক কিছু দেখলাম । বহুদিন পর পুরোনো লোকজন সহ অনেক আপন মানুষের সাথে সাক্ষাৎ হলো । স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে কত মানুষের সাথে যে হাত মিলাতে হয়েছে তার কোন ইয়াত্তা নেই । এই ভিড়ের মাঝে সেলফি তোলার আবদারও মেটাতে হয়েছে ।
ঘুমহীন ক্লান্ত শরীর কিন্তু সময়ের কোন ক্লান্তি নেই । আমি ভারাক্রান্ত মনে ঢাকায় ফিরেছি, দোয়া করছি ।
দয়াময় মায়াময় আল্লাহ তা'য়ালা আহমাদ শফি হুজুরের কবরকে জান্নাতের নূর দিয়ে আলোকিত করুন । প্রশান্তির ঘুম পাড়িয়ে রাখুন বিচার দিবস পর্যন্ত, চুড়ান্ত দিনে আরশের ছায়ায় স্থান দিন । হুজুরের নসিহাহ ও একান্ত দোয়া গুলো আমাদের জীবনে বরকতময় করে দিন এটিই দোয়া করছি বার বার ।

اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ، وَعَافِهِ، وَاعْفُ عَنْهُ، وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ، وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ، وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الأَبْيَضَ مِنَ الدَّنَسِ، وَأَبْدِلْهُ دَاراً خَيْراً مِنْ دَارِهِ، وَأَهْلاً خَيْراً مِنْ أَهْلِهِ، وَزَوْجَاً خَيْراً مِنْ زَوْجِهِ، وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ، وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ [وَعَذَابِ النَّارِ]
ইয়া আল্লাহ ! আপনি তাকে ক্ষমা করুন, তাকে দয়া করুন, তাকে পূর্ণ নিরাপত্তায় রাখুন, তাকে মাফ করে দিন, তার মেহমানদারীকে মর্যাদাপূর্ণ করুন, তার প্রবেশস্থান কবরকে প্রশস্ত করে দিন । আর আপনি তাকে ধৌত করুন পানি, বরফ ও শিলা দিয়ে, আপনি তাকে গুনাহ থেকে এমনভাবে পরিষ্কার করুন যেমন সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিষ্কার করেছেন । আর তাকে তার ঘরের পরিবর্তে উত্তম ঘর, তার পরিবারের বদলে উত্তম পরিবার ও তার জোড়ের (স্ত্রী/স্বামীর) চেয়ে উত্তম জোড় প্রদান করুন । আর আপনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান এবং তাকে কবরের আযাব [ও জাহান্নামের আযাব] থেকে রক্ষা করুন । আমিন ইয়া রব্বাল আলামীন ।
মুসলিম ২/৬৬৩, নং ৯৬৩।




৪টি মন্তব্য: