(صلاة الجمعة)
প্রথম হিজরীতে জুম‘আ ফরয হয় এবং হিজরতকালে ক্বোবা ও মদীনার মধ্যবর্তী বনু সালেম বিন ‘আওফ গোত্রের ‘রানূনা’ (رانوناء) উপত্যকায় সর্বপ্রথম প্রিয় নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুম‘আর ছালাত আদায় করেন । যাতে একশত মুসল্লী শরীক ছিলেন । তবে হিজরতের পূর্বে মদীনার আনছারগণ পরামর্শক্রমে ইহুদী ও নাছারাদের সাপ্তাহিক ইবাদতের দিনের বিপরীতে নিজেদের জন্য একটি ইবাদতের দিন ধার্য করেন ও সে মতে আস‘আদ বিন যুরারাহ রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহুর নেতৃত্বে মদীনার বনু বায়াযাহ গোত্রের নাক্বী‘উল খাযেমাত (نَقِيعُ الْخَضِمَاتِ) নামক স্থানের ‘নাবীত’ (هَزْمُ النَّبِيْتِ) সমতল ভূমিতে সর্বপ্রথম জুম‘আর ছালাত চালু হয় ।
সেখানে চল্লিশ জন মুসল্লী যোগদান করেন । অতঃপর হিজরতের পর জুম‘আ ফরয করা হয় ।
রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জুম‘আর এই দিনটি প্রথমে ইয়াহূদ-নাছারাদের উপরে ফরয করা হয়েছিল । কিন্তু তারা এ বিষয়ে মতভেদ করে । তখন আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে এই দিনের প্রতি হেদায়াত দান করেন । এক্ষণে সকল মানুষ আমাদের পশ্চাদানুসারী । ইহুদীরা পরের দিন (শনিবার) এবং নাছারারা তার পরের দিন (রবিবার) ।
যেহেতু আল্লাহ শনিবারে কিছু সৃষ্টি করেননি এবং আরশে স্বীয় আসনে সমাসীন হন, সেহেতু ইহুদীরা এদিনকে তাদের সাপ্তাহিক ইবাদতের দিন হিসাবে বেছে নেয় ।
যেহেতু আল্লাহ রবিবারে সৃষ্টির সূচনা করেন, সেহেতু নাছারাগণ এ দিনটিকে পছন্দ করে । এভাবে তারা আল্লাহর নির্দেশের উপর নিজেদের যুক্তিকে অগ্রাধিকার দেয় ।
পক্ষান্তরে জুম‘আর দিনে সকল সৃষ্টিকর্ম সম্পন্ন হয় এবং সর্বশেষ সৃষ্টি হিসাবে আদমকে পয়দা করা হয় । তাই এ দিনটি হ’ল সকল দিনের সেরা ।
এই দিনটি মুসলিম উম্মাহর সাপ্তাহিক ইবাদতের দিন হিসাবে নির্ধারিত হওয়ায় বিগত সকল উম্মতের উপর তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয় । কা‘ব বিন মালেক রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু অন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আযানের আওয়ায শুনে বিগলিত হৃদয়ে বলতেনঃ ‘আল্লাহ রহম করুন, আস‘আদ বিন যুরারাহর উপর, সেই-ই প্রথম আমাদের নিয়ে জুম‘আর ছালাত কায়েম করে নবী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মক্কা থেকে আগমনের পূর্বেই ।
শহর হোক বা গ্রামে হোক জুম‘আর ছালাত প্রত্যেক বয়স্ক পুরুষ ও জ্ঞানসম্পন্ন মুসলমানের উপরে জামা‘আত সহ আদায় করা ‘ফরযে আয়েন’ ।
তবে রোগী, মুসাফির, শিশু ও মহিলাদের উপরে জুম‘আ ফরয নয় ।
বাহরায়েনবাসীর প্রতি এক লিখিত ফরমানে খলীফা ওমর রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু বলেনঃ جَمِّعُوْا حَيْثُمَا كُنْتُمْ ‘তোমরা যেখানেই থাক, জুম‘আ আদায় কর’। কারাবন্ধী অবস্থায় অনুমতি পেলে করবে, নইলে করবে না ।
মাশা'অাল্লাহ
উত্তরমুছুনজাজাকাল্লাহ খায়রান।
মাশা'অাল্লাহ
উত্তরমুছুনজাজাকাল্লাহ খায়রান।