রাফিক বিন সাঈদীর জানাজায় বক্তব্য (১৪.০৬.২০১২)
ছেলের লাশের চেয়ে বাপের কাছে বড় বোঝা আর কিছু নেই ।
আমার কলিজার টুকরা রাফিক দেশে-বিদেশে কোরআনের তাফসির করত । তাকে আল্লাহ নিয়ে গেলেন । ক’মাস আগে আমার মায়ের জানাজা পড়ে গেলাম । আর আজ ছেলের জানাজা পড়ছি । আল্লাহ আমাকে সময়ও দিল না ।
আজই (গতকাল) আছরের পর জানতে পারলাম ছেলের মৃত্যুর কথা । আমি বলতাম, আমার ছেলে আমার জানাজা পড়াবে । কিন্তু সে আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল । আল্লাহ, তার কবরে নূর বানিয়ে দাও, তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব কর ।
আজই (গতকাল) আছরের পর জানতে পারলাম ছেলের মৃত্যুর কথা । আমি বলতাম, আমার ছেলে আমার জানাজা পড়াবে । কিন্তু সে আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল । আল্লাহ, তার কবরে নূর বানিয়ে দাও, তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব কর ।
আমার ছেলের মৃত্যুর পরও আমাকে বাড়িতে যেতে দেয়া হলো না । আমার স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হলো না । ও আল্লাহ!!! তোমার কাছে নালিশ করলাম । আমি মজলুম, আমার দোয়া কবুল কর । যারা কষ্ট করে জানাজায় এসেছেন, তাদের মঙ্গল কর । এদেশকে তুমি কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, আফগান, আলজেরিয়ার মতো বানিওনা । এদেশের মুসলমান, কোরআন-সুন্নাহকে বাঁচাও । দীনের খাদেমদের বাঁচাও ।
আমাকে বানানো হয়েছে যুদ্ধাপরাধী, হত্যা ও ধর্ষণকারী । আল্লাহর কসম করে বলছি, ’৭১ সালের এক ফোঁটা পানি বা কাদা আমার গায়ে লাগেনি । আমার কাজ ছিল কোরআনের প্রচার করা । নাস্তিকরা আমাকে সহ্য করতে না পেরে বন্দী করে রেখেছে ।
আমাকে বানানো হয়েছে যুদ্ধাপরাধী, হত্যা ও ধর্ষণকারী । আল্লাহর কসম করে বলছি, ’৭১ সালের এক ফোঁটা পানি বা কাদা আমার গায়ে লাগেনি । আমার কাজ ছিল কোরআনের প্রচার করা । নাস্তিকরা আমাকে সহ্য করতে না পেরে বন্দী করে রেখেছে ।
আমি শহীদ হতে চাই । তবে কোনো কলঙ্কের বোঝা নিয়ে ফাঁসি তো দূরের কথা, একদিনও সাজা দিও না । আল্লাহ জালেমদের হেদায়াত দাও অথবা বিদায় কর ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন