প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা ও মনের পরম প্রশান্তি লাভই হচ্ছে বিয়ের প্রধানতম উদ্দেশ্য ।
ইসলামে নারী পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিয়েই হচ্ছে একমাত্র বৈধ উপায়, একমাত্র বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা । বিয়ে ছাড়া অন্য কোনো ভাবে- অন্য পথে - নারী পুরুষের মিলন ও সম্পর্ক স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । বিয়ে হচ্ছে পুরুষ ও নারীর মাঝে সামাজিক পরিবেশ ও সমর্থনে শরীয়াত মোতাবেক অনুষ্ঠিত এমন এক সম্পর্ক স্থাপন, যার ফলে দুজনের একত্রে বসবাস্ব পরস্পরে যৌন সম্পর্ক স্থাপন সম্পূর্ণরুপে বৈধ হয়ে যায় । যার দরুন পরস্পরের উপর অধিকার আরোপিত হয় এবং পরস্পরের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য অবশ্য পালনীয় হয়ে দাড়ায় ।
পবিত্র কুরআনুল কারীমে্র সুরা আন-নুরের ৩২নং আয়াতে মহান আল্লাহ পাক বলেনঃ বিয়ে দাও তোমাদের এমন সব ছেলে -মেয়েদের, যাদের স্বামী বা স্ত্রী নেই, বিয়ে দাও তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা বিবাহের যোগ্য হয়েছে । Marry the unmarried among you and the righteous among your male salves and female salevs. Sura an-noor- 32 অন্যত্র আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেনঃ তোমরা মেয়েদের অভিভাবক মুরুব্বীদের অনুমতিক্রমে তাদের বিয়ে করো । অবশ্য অবশ্যই তাদের দেন মোহর দাও । সুরা নিসা- ২৫
Whoever among you cannot the means to marry free believing women........ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়াল আনহু থেকে বর্ণিত সাইয়েদুল মুরসালীন মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুমারিত্ব ও অবিবাহিত বা নিঃসঙ্গ জীবন যাপনের কোন নিয়ম ইসলামে নেই । বুখারী-১৪১৬
ইসলামের দৃষ্টিতে পারিবারিক জীবনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে নরনারীর নৈতিক পবিত্রতা ও সতীত্ব সংরক্ষন । আর এজন্য বিয়ে করা কে ফরজ করা হয়েছে । তেমনি পুরুষদের জন্য এ অনুমতিও দেয়া হয়েছে যে, বিশেস কোন কারনে যদি একসাথে একের অধিক স্ত্রী গ্রহন করা তার পক্ষে অপরিহার্য হয়ে পড়ে তাহলে সে করতে পারে । তবে তার শেষ সীমা হচ্ছে চারজন পর্যন্ত । একসঙ্গে চারজন পর্যন্ত স্ত্রী গ্রহন করা একজন পুরুষের পক্ষে জায়েয-বিধি সম্মত । এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন মজিদে যে আয়াতটি রয়েছে তা হচ্ছেঃ তবে যে সব নারীদের তোমরা পছন্দ করো, তাদের মধ্য থেকে বিয়ে করে নাও - দুই -তিন -চারজনকে । সুরা আন-নিসা- ৩ । Then marry those that please you of women, two or three or four. চারটি কাজ নবীগনের সুন্নাতের মধ্যে গন্য; তা হচ্ছেঃ
(১) সুগন্ধি ব্যবহার করা । (২) বিয়ে করা । (৩) মিসওয়াক করা । এবং (৪) খাতনা করানো ।
সুরা আন-নিসার ৩ নং আয়াতের শেষে বলা হয়েছে - আর তাদের মধ্যে সুবিচার করতে পারবে না বলে যদি ভয় করো তোমরা, তাহলে একজনমাত্র স্ত্রী গ্রহন করবে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন