পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে গোসল করে ইহরাম বেধে দুই রাকায়াত নামায আদায় করতে হবে । এই দুই রাকায়াত নামাযের অনেক বেশী ফজিলত ।নামায শেষে তালবিয়া পাঠ শুরু করতে হবে । নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার কাছে জিবরাঈল (আঃ) এসে বলেছেন, আপনার সাথীদের উচ্চস্বরে পাঠ করতে বলুন, কারন এটা হজ্জের নিদর্শন । (ইবনে মাজাহ )
রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেনঃ যখন তালবিয়া পাঠ করা হয় তখন তালবিয়া পাঠকারী হাজীর ডান-বাম দিকের পাথর, গাছ, ও মাটি তার সাথে তালবিয়া পাঠ করতে থাকে । একজন হাজী যখন তালবিয়া পাঠ করে, মহান আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহানত্বের প্রকাশ করে তখন আল্লাহ তায়ালা অত্যন্ত খুশী হন ।
তালবিয়া নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি'মাতা লাকা ওয়াল মূলক, লা শারিকা লাক ।
আমি আপনার আহবানে উপস্থিত, হে আমার মালিক ! আমি আপনার দরবারে উপস্থিত । আমি আপনার ডাকে সাড়া দিয়েছি, আপনার কোনো অংশীদার নেই । নিঃসন্দেহে সকল প্রশংসা ও সম্পদরাশি আপনার এবং সমগ্র বিশ্বের একচ্ছত্র আধিপত্য সার্বভৌমত্ব আপনার । আপনার সার্বভৌমত্ব্যে অন্য কারো কোনো অংশীদার নেই ।
চলবে................
"শারঈ মানদন্ডে
দোয়া-যিকর, হজ্জ ও উমরা"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন