সকাল হতেই জনতার ঢল, বুকে কবরের মাটি মাখল ভক্তরা !
অনলাইন ডেস্ক
তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। বিদ্যুৎহীনতা। তার উপর বিজিবি-র্যাব-পুলিশের কড়াকড়ি। পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যেই ঘেঁষতে পারছিল না কেউ।
কিন্তু সূর্য উঠতেই অন্যরকম দৃশ্য !
হাজার হাজার মানুষ আসছে কামারুজ্জামানের কবরে। তাদের কারো চোখে শোকের অশ্রু, কারো চোখে ভয়ার্ত চাহনি। কী করবে, না করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। কেউ কবরে একমুঠো মাটি দিচ্ছে। কেউ কবরের মাটিতে চুমু খাচ্ছে। কেউ আবার কবর জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলছে।
পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, প্রশাসনিক বাধা যত কাটবে কামারুজ্জামানের কবর ঘিরে জনতার ঢল বাড়বে।
ইতোমধ্যে শেরপুরের চরাঞ্চল থেকে অনেক সাধারণ নারী-পুরুষ ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের অনেক জায়গা থেকে কামারুজ্জামানের ভক্তদের রওনা হওয়ার কথা জানা গেছে।
সকাল হতেই জনতার ঢল, বুকে কবরের মাটি মাখল ভক্তরা !
অনলাইন ডেস্ক
তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। বিদ্যুৎহীনতা। তার উপর বিজিবি-র্যাব-পুলিশের কড়াকড়ি। পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যেই ঘেঁষতে পারছিল না কেউ।
কিন্তু সূর্য উঠতেই অন্যরকম দৃশ্য !
হাজার হাজার মানুষ আসছে কামারুজ্জামানের কবরে। তাদের কারো চোখে শোকের অশ্রু, কারো চোখে ভয়ার্ত চাহনি। কী করবে, না করবে কিছুই বুঝতে পারছে না। কেউ কবরে একমুঠো মাটি দিচ্ছে। কেউ কবরের মাটিতে চুমু খাচ্ছে। কেউ আবার কবর জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলছে।
পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, প্রশাসনিক বাধা যত কাটবে কামারুজ্জামানের কবর ঘিরে জনতার ঢল বাড়বে।
ইতোমধ্যে শেরপুরের চরাঞ্চল থেকে অনেক সাধারণ নারী-পুরুষ ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের অনেক জায়গা থেকে কামারুজ্জামানের ভক্তদের রওনা হওয়ার কথা জানা গেছে।
।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের দাফনের পর আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কড়াকড়ি শিথিল করলে তার কবরের পাশে মানুষের ঢল নামে । তারা কামারুজ্জামানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন । এ সময় শোকাতুর এলাকাবাসীর আহাজারিতে সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় । এলাকাবাসীর মাতম দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যের চোখও অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠে ।
এর আগে আজ রোববার সকাল ৫টা ২০ মিনিটে মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে । তার প্রতিষ্ঠিত শেরপুর সদর উপজেলার কুমরী বাজিতখিলা এতিমখানার পাশের জমিতে তাকে দাফন করা হয় । এর আগে রোববার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে এতিমখানা মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় । এতে কামারুজ্জামানের ৪/৫জন আত্মীয়সহ শতাধিক মানুষ অংশ নেন । এ সময় আশেপাশে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হলেও আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা বেষ্টনির কারণে তারা জানাজায় অংশ নিতে পারেননি । দাফনস্থলে গণমাধ্যম কর্মীসহ স্থানীয়দেরকে যেতে দেয়া হয়নি ।
শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে জেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কুমরী বাজিতখিলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে । তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় । রোববার ভোর ৪টা ১৬ মিনিটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কামারুজ্জামানের লাশ কুমরী বাজিতখিলা গ্রামে এসে পৌঁছে । এ সময় তাঁর বড় ভাই মো. কফিল উদ্দিন প্রশাসনের নিকট থেকে লাশ গ্রহণ করেন । পরে কুমরী বাজিতখিলা এতিমখানা মাঠে অনুষ্ঠিত নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন বাজিতখিলা দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ও কামারুজ্জামানের ভাগ্নি জামাই মাওলানা আব্দুল হামিদ । রোববার ভোর ছয়টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়াকড়ি শিথিল করলে কামারুজ্জামানের কবরস্থানে হাজার হাজার নারী-পুরুষের ঢল নামে । তারা কামারুজ্জামানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন । এ সময় শোকাতুর এলাকাবাসীর আহাজারিতে সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় । এলাকাবাসীর মাতম দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যের চোখও অশ্রুসিক্ত হয়ে ওঠে । বাজিতখিলা ইউনিয়নের মধ্যকুমরী গ্রামের মজিবর রহমান (৪০) ও আব্দুল কুদ্দুস বলেন, তারা নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য অজু করে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন । কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুমতি না দেয়ায় জানাযায় অংশ নিতে পারেননি ।
বাজিতখিলা গ্রামের কামরুল ইসলাম বলেন, কামারুজ্জামানের জানাজায় অংশ নিতে কয়েক হাজার মানুষ এতিমখানার আশপাশে সমবেত হয়েছিলেন কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের জানাজাস্থলে আসতে দেয়নি ।
কুমরী বাজিতখিলা এতিমখানার পরিচালক নূরুল আমিন জানিয়েছেন, জানাজায় শতাধিক মানুষ অংশ নিয়েছেন । কামারুজ্জামানের বড় ভাই আলমাছ আলী (৬৮) কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার ভাই কামারুজ্জামান ছিলেন নিরপরাধ ও নির্দোষ । বিচারের নামে তাকে হত্যা করা হয়েছে । এজন্য যারা দায়ী আল্লাহর কাছে তাঁদের বিচার চাই ।’
কামারুজ্জামানের আরেক বড় ভাই মো. কফিল উদ্দিন বলেন, তার (কামারুজ্জামানের) শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মরদেহ কুমরী বাজিতখিলা এতিমখানার পাশে দাফন করা হয় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন