প্রজন্ম ? হাহ । প্রজন্ম তুমি অদ্ভুত ! তুমি ৭১ এর ধর্ষণ দেখো, তুমি হেফাজতের একজন মহিলা সাংবাদিককে ধাওয়া করা দেখো, তুমি শুধু দেখোনা বুকে জয়বাংলার চেতনা ধারণ করা এইসব নরপশুদের, যারা এই একবিংশ শতাব্দীতে তোমার দেশের নারীদের সম্ভ্রমহানী করে প্রকাশ্য দিবালোকে হাজার হাজার মানুষের মাঝে । এইবেলায় তুমি অন্ধ ।
মেয়েটি ঘুরতে বের হয়েছিলো স্বামীর সাথে । সেখান থেকে যখন তাঁকে উদ্ধার করা হয় গায়ে কোন শাড়ি ছিল না মেয়েটির । স্বামীকে মারা হচ্ছিল বেধড়কভাবে । সম্ভ্রম বাঁচাতে উদ্ধারকারীদের মধ্যে একজন মেয়েটিকে তাঁর গায়ের পাঞ্জাবী খুলে পরিয়ে দেন । তাদের মধ্যে একজন তখন বলছিলো এমন দৃশ্য আর পাওয়া যাবে না । ভিডিও করেন তাড়াতাড়ি । ভিডিও করা হয় ।
একজন মা তার ছোট ছেলে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন টিএসসিতে । ভীড়ের মধ্যে লীগের ছেলেদের হাতে যখন পড়লেন তখন তিনি চিৎকার করে বলছিলেন- ভাই,আমার সাথে আমার বাচ্চা আছে, আমাকে ছেড়ে দেন । কিন্তু তাকে ছাড়া হয়নি । অসংখ্য হাত তার শরীরে । বাচ্চাগুলো চিৎকার করছে । ভয়ে একটি বাচ্চা অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে ।
এমন আরও অনেক ঘটনাই বছরের শুরুতে ঘটেছে টিএসসিতে । হতভাগ্য মেয়েগুলোকে ঘিরে উচ্চস্বরে বাজানো হচ্ছিল ভুভুজেলা । আর্তচিৎকার যাতে বাইরে শোনা না যায় ।
১৯ টি সিসিটিভি ক্যামেরা। তারপরও পুলিশের হাতে নাকি কোনও প্রমাণ নেই । কেউ ধরা পড়ে নি । ধরা পড়েছিলো যে কজন তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে । কারণ তারা সরকারী দল আওয়ামীলীগের ।
এড়িয়ে গেল মিডিয়া । মেইন্সট্রিম মিডিয়াতে নেই তেমন তোলপাড় । কারণ, মিডিয়া আওয়ামী সরকারের দালাল । এভাবেই এই সরকার আমাদের দেশকে ধরংস করছে বিভিন্নভাবে ।
পৃথিবীর অন্য কোনও দেশে এরকম ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে সরকারের পতন হয়ে যেতো । আমাদের দেশে তা হবেনা । পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য বর্বর এই দেশ । এদেশের চেতনাধারী তরুণ প্রজন্মের কাছে তাদের ঘরের মা-বোন ভয়ে ভয়ে থাকে । আমি নিশ্চিত ।
প্রধানমন্ত্রী একজন নারী । ভাবতে লজ্জা হয় । তিনি তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখবার জন্য এইসব পার্ভার্ট নরপশুদের লালন করেন । তার শেল্টারে ওরা নিরাপদে এই কাজগুলো করতে সাহস পায় । পশুগুলো জানে, তাদের কিছুই হবেনা । আমি ছাত্রলীগ করি, এইকথা বলে সবকিছু জায়েজ করা যায় । মানুষ জবাই থেকে শুরু করে যখন যেকোনো মেয়েকে ইচ্ছে তাকে নিয়ে বিকৃত সুখ পাওয়া যায় । ইচ্ছে করলেই যা ইচ্ছে তাই করা যায় ।
আমার এখন আর কোনও ভাষা নেই । আওয়ামী তালেবর লেখকেরা এখন কিছু বলছেন না । উনারা প্রগতীশীলতা মনে করছেন এটিকে । মুখের মধ্যে ঠুসি পরে বসে আছেন । নারীবাদীরা একটা শব্দও উচ্চারণ করছেন না । ধিক্কার জানাই সেইসব নারীবাদীদের ।
বিবস্ত্র কি শুধু ছাত্রলীগই করে, আর এটা কি শুধু মহিলাদের বেলাতেই প্রযোজ্য ?
পুরুষদের কি শ্লীলতা হানি নাই ?
বর্তমান পুলিশ, আওয়ামী মন্ত্রী, ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সহ ষাঁড় গংরা একই বৈশিষ্ট্যের অধিকারী । পার্থক্য হলো ষাঁড়ের মতো সুক্ষ্ণ বুদ্ধির শাহাবিগীরা কচি মেয়েদের সংস্পর্শে সুক্ষ্ণ অনুভূতির স্বাদ নেয়, পুলিশ আর ছাত্রলীগের মতো মোটা বুদ্ধির শাহাবাগীরা পুরো স্বাদ নিতে চায় ।
ছোট কয়টা প্রশ্ন জাগে : ১) চল্লিশ মিনিট ধরে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে অপরাধ করে যাবার ক্ষমতা যে সংঘবদ্ধ দলের থাকতে পারে তারা কারা ? তাও ঢাকা ইউনিভার্সিটির মতো জায়গায় ? আপনারা যে কোনো দশজন লোক পরবর্তী কোন জাতীয় দিবসে ভীড়ের সুযোগ নিয়ে চেষ্টা করে দেখবেন তো টিএসসি-সোহরাওয়ার্দী এলাকায় দাঁড়িয়ে বিশ মিনিট এই কর্ম করে টিকে থাকতে পারেন কিনা । এই তিরিশটা ছেলের শক্তির উৎস তাহলে কোথায় ?
২) অভিযোগ উঠেছে দুইজনকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার পরও ছেড়ে দেয়া হয়েছে । কেনো ?
৩) মাননীয় প্রধানমণ্ত্রী কি এই ঘটনায় একটা কঠিন এবং কড়া উদ্যোগ নিয়ে আমাদের বোঝাতে পারেন বাংলাদেশের উপর আশা রাখার কিছু সুযোগ এখনও আমাদের আছে ?
মঙ্গল শোভাযাত্রায় কেন অমঙ্গল ঘটলো ? মা বোনদের বলতে চাই- এই লাঞ্ছনার উপযুক্ত জবাব আপনারা দিন সিটি নির্বাচনের ব্যালটে ।
মেয়েটি ঘুরতে বের হয়েছিলো স্বামীর সাথে । সেখান থেকে যখন তাঁকে উদ্ধার করা হয় গায়ে কোন শাড়ি ছিল না মেয়েটির । স্বামীকে মারা হচ্ছিল বেধড়কভাবে । সম্ভ্রম বাঁচাতে উদ্ধারকারীদের মধ্যে একজন মেয়েটিকে তাঁর গায়ের পাঞ্জাবী খুলে পরিয়ে দেন । তাদের মধ্যে একজন তখন বলছিলো এমন দৃশ্য আর পাওয়া যাবে না । ভিডিও করেন তাড়াতাড়ি । ভিডিও করা হয় ।
একজন মা তার ছোট ছেলে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন টিএসসিতে । ভীড়ের মধ্যে লীগের ছেলেদের হাতে যখন পড়লেন তখন তিনি চিৎকার করে বলছিলেন- ভাই,আমার সাথে আমার বাচ্চা আছে, আমাকে ছেড়ে দেন । কিন্তু তাকে ছাড়া হয়নি । অসংখ্য হাত তার শরীরে । বাচ্চাগুলো চিৎকার করছে । ভয়ে একটি বাচ্চা অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে ।
এমন আরও অনেক ঘটনাই বছরের শুরুতে ঘটেছে টিএসসিতে । হতভাগ্য মেয়েগুলোকে ঘিরে উচ্চস্বরে বাজানো হচ্ছিল ভুভুজেলা । আর্তচিৎকার যাতে বাইরে শোনা না যায় ।
১৯ টি সিসিটিভি ক্যামেরা। তারপরও পুলিশের হাতে নাকি কোনও প্রমাণ নেই । কেউ ধরা পড়ে নি । ধরা পড়েছিলো যে কজন তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে । কারণ তারা সরকারী দল আওয়ামীলীগের ।
এড়িয়ে গেল মিডিয়া । মেইন্সট্রিম মিডিয়াতে নেই তেমন তোলপাড় । কারণ, মিডিয়া আওয়ামী সরকারের দালাল । এভাবেই এই সরকার আমাদের দেশকে ধরংস করছে বিভিন্নভাবে ।
পৃথিবীর অন্য কোনও দেশে এরকম ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে সরকারের পতন হয়ে যেতো । আমাদের দেশে তা হবেনা । পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য বর্বর এই দেশ । এদেশের চেতনাধারী তরুণ প্রজন্মের কাছে তাদের ঘরের মা-বোন ভয়ে ভয়ে থাকে । আমি নিশ্চিত ।
প্রধানমন্ত্রী একজন নারী । ভাবতে লজ্জা হয় । তিনি তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখবার জন্য এইসব পার্ভার্ট নরপশুদের লালন করেন । তার শেল্টারে ওরা নিরাপদে এই কাজগুলো করতে সাহস পায় । পশুগুলো জানে, তাদের কিছুই হবেনা । আমি ছাত্রলীগ করি, এইকথা বলে সবকিছু জায়েজ করা যায় । মানুষ জবাই থেকে শুরু করে যখন যেকোনো মেয়েকে ইচ্ছে তাকে নিয়ে বিকৃত সুখ পাওয়া যায় । ইচ্ছে করলেই যা ইচ্ছে তাই করা যায় ।
আমার এখন আর কোনও ভাষা নেই । আওয়ামী তালেবর লেখকেরা এখন কিছু বলছেন না । উনারা প্রগতীশীলতা মনে করছেন এটিকে । মুখের মধ্যে ঠুসি পরে বসে আছেন । নারীবাদীরা একটা শব্দও উচ্চারণ করছেন না । ধিক্কার জানাই সেইসব নারীবাদীদের ।
বিবস্ত্র কি শুধু ছাত্রলীগই করে, আর এটা কি শুধু মহিলাদের বেলাতেই প্রযোজ্য ?
পুরুষদের কি শ্লীলতা হানি নাই ?
বর্তমান পুলিশ, আওয়ামী মন্ত্রী, ছাত্রলীগ, সাংবাদিক সহ ষাঁড় গংরা একই বৈশিষ্ট্যের অধিকারী । পার্থক্য হলো ষাঁড়ের মতো সুক্ষ্ণ বুদ্ধির শাহাবিগীরা কচি মেয়েদের সংস্পর্শে সুক্ষ্ণ অনুভূতির স্বাদ নেয়, পুলিশ আর ছাত্রলীগের মতো মোটা বুদ্ধির শাহাবাগীরা পুরো স্বাদ নিতে চায় ।
ছোট কয়টা প্রশ্ন জাগে : ১) চল্লিশ মিনিট ধরে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে অপরাধ করে যাবার ক্ষমতা যে সংঘবদ্ধ দলের থাকতে পারে তারা কারা ? তাও ঢাকা ইউনিভার্সিটির মতো জায়গায় ? আপনারা যে কোনো দশজন লোক পরবর্তী কোন জাতীয় দিবসে ভীড়ের সুযোগ নিয়ে চেষ্টা করে দেখবেন তো টিএসসি-সোহরাওয়ার্দী এলাকায় দাঁড়িয়ে বিশ মিনিট এই কর্ম করে টিকে থাকতে পারেন কিনা । এই তিরিশটা ছেলের শক্তির উৎস তাহলে কোথায় ?
২) অভিযোগ উঠেছে দুইজনকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার পরও ছেড়ে দেয়া হয়েছে । কেনো ?
৩) মাননীয় প্রধানমণ্ত্রী কি এই ঘটনায় একটা কঠিন এবং কড়া উদ্যোগ নিয়ে আমাদের বোঝাতে পারেন বাংলাদেশের উপর আশা রাখার কিছু সুযোগ এখনও আমাদের আছে ?
মঙ্গল শোভাযাত্রায় কেন অমঙ্গল ঘটলো ? মা বোনদের বলতে চাই- এই লাঞ্ছনার উপযুক্ত জবাব আপনারা দিন সিটি নির্বাচনের ব্যালটে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন