ওরা অবাক হয়, ক্ষণিকের তরে হলেও ওদের কুৎসিত খুনপিপাসু জিঘাংসা ভরা মন বিস্মিত হয় – কেন কাদের মোল্লা, কামরুজ্জামান, মীর কাশেমরা ভি দেখায়, কেন নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ওরা জীবন ভিক্ষা চায় না, কেন ওদের স্ত্রী-সন্তানেরা বিজয়ের বার্তা শোনায়, কেন ওদের চোখে পানি আসে না, কেন ওরা উন্মাদের মত ছটফট না করে বিকেলের নীল সাগরের মত শান্ত থাকে, ওরা জবাব পায় না।
ওরা চেষ্টা করে, ওরা নানা কৌশল খাটায়, নাটক করে, মহান নেতাকে ওরা মচকানোর তদবির করে। কিসের তৈরি এরা, জানার জন্য ওদের মন আকুলি বিকুলি করে। এই মহাবিশ্বের মহান সৃষ্টিকর্তার সাথে মিলিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় উদগ্রীব নেতার, নেতার পরিবারের, আনুসারীদের আচরনে সত্য প্রকাশের ভয়ে ওরা ভড়কে যায়, শংকিত হয়। ওদের বিকৃত মস্তিষ্ক নানা ব্যাখ্যা দাড় করায়, কিন্তু ওদের মন ভরে না। ওরা ভাবে, এই রকম তো হওয়ার কথা ছিল না।
ওরা জানে না আগেও ক্ষমতার লোভে অন্ধ ওদের পূর্বসূরিরা এই প্রশ্ন গুলোর জবাব জানতে পারেনি যাদের অন্তরে মহান প্রতিপালক সিলমোহর মেরে দিয়েছিলেন। ওরা জানেনা যে, মহান দয়াময় রহমানুর রাহিম আজ থেকে চোদ্দশত বছর আগেই এই ভি চিহ্নের জবাব তার পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরাআনে দিয়ে রেখেছেন। ওরা জানেনা যে, মোল্লা- জামান-আলীরা পবিত্র গ্রন্থের এই আয়াতটি মনে মগজে খোদাই করে নিয়েছে- “প্রকৃত ব্যাপার এই যে, আল্লাহ মুমিনদের থেকে তাদের প্রাণ ও ধন-সম্পদ জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন।
তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে এবং মারে ও মরে। তাদের প্রতি তাওরাত, ইঞ্জিল ও কুরআনে(জান্নাতের ওয়াদা) আল্লাহর জিম্মায় একটি পাকাপোক্ত ওয়াদা বিশেষ। আর আল্লাহর চাইতে বেশী নিজের ওয়াদা পূরণকারী আর কে আছে? কাজেই তোমরা আল্লাহর সাথে যে কেনা-বেচা করছো সে জন্য আনন্দ করো। এটিই সবচেয়ে বড় সাফল্য।” (সূরা আত তাওবা-১১১ নং আয়াত)
এই বড় সাফল্য সুনিশ্চিত ভাবে পেয়ে যাওয়ার কারনেই কাদের মোল্লা, কামরুজ্জামান, মীর কাশেমরা ভি সাইন দেখায়, তাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারন করে তাদের স্বামী আর পিতার কথা, কর্মীরা গর্বিত উচু শিরে চলে নেতার আদর্শের পথে, জন্ম হয় লাখো কাদের মোল্লার।
হাসান জামিলঃ কাদের মোল্লার ছেলে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন