সোমবার, ৪ মে, ২০১৫

অন্ধকার নিপীড়নের কারাজীবনে-হে আল্লাহ ! তুমি কোরআনের এই খাদেমের সাহায্যকারী হও ।

আমার আব্বা আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে জালিম সরকার উত্থাপিত তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ অভিযোগের মূল বিষয় হল, আমার আব্বার নামের বিষয়টি । জালিম সরকার বলছে, আমার আব্বার নাম শুরুতে ছিল ‘দেলোয়ার শিকদার’। স্বাধীনতার পর তিনি নাম বদল করে ‘দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী’ হয়েছেন ।


আমরা হাজার বার ট্রাইব্যুনালে দালিলিক প্রমানাদি সহকারে বলেছি, আমার আব্বা জন্মলগ্ন থেকেই ‘দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী’। এর প্রমান সহকারে ট্রাইব্যুনালে আমারা আব্বার ১৯৫৭ সালের দাখিল (এসএসসি) পরীক্ষার সার্টিফিকেট (২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় নমিনেশন পেপারের সাথে জমা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে ২৯/১১/২০০৮ সালে ঐ সার্টিফিকেটের দ্বি-নকল কপি তোলা হয়েছিল) এবং ১৯৬৪ সালে যশোরের একটি মাহফিলের লিফলেট আদালতে উপস্থাপন করেছি ।


কিন্তু নিজের বিবেককে ভিন্ন কোন জায়গায় বন্দক রাখা প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থার আজ্ঞাবহরা এবং মাননীয় বিচারপতিগণ আমাদের সেই দালিলিক প্রমানাদি সামান্যতম আমলে না নিয়েই যুদ্ধকালীন পিরোজপুরের কোন এক ‘দেলোয়ার শিকদারের’ করা যাবতীয় অপরাধ আমার আব্বা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর উপর গায়ের জোড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন ।
বিতর্কিত আদালতের বিচারপতিরা আমাদের দালিলিক প্রমানাদি আমলে নেয়নি, কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি সকল বিচারকের শ্রেষ্ঠ বিচারক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আদালতে আমাদের সকল বক্তব্য আমলে নেয়া হবে এবং জালিমেরা অবশ্যই সেদিন কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তির মুখোমুখি হবে, ইনশাআল্লাহ ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন