হজ্জ তিন ধরনের, হজ্জে ইফরাদ, হজ্জে তামাত্তু, হজ্জে ক্বেরান । শুধু মাত্র হজ্জ পালন করার উদ্দেশ্যে ইহরাম বেধে তালবিয়া পাঠ করাকে ইফরাদ হজ্জ বলে । ইফরাদ হজ্জকারী হজ্জ শেস করে উমরা আদায় করতে পারবেন ।
হজ্জের মাস সমুহে উমরা পালন করে ইহরাম থেকে হালাল হয়ে দেশে না ফিরে সে বছরই আবার হজ্জের ইহরাম বেধে হজ্জ করাকে তামাত্তু হজ্জ বলে । এধরনের হজ্জকে তামাত্তু হজ্জ বলার কারন হলো, তামাত্তু হজ্জকারী উমরা থেকে মুক্ত হয়ে উমরার ইহরামের কারনে নিসিদ্ধ জিনিস ভোগ করতে পারে । কারন তামাত্তু শব্দের অরথ হলো উপভোগ করা । উপক্রিত হওয়া বা ফায়দা অরজন করা ।
একই সাথে হজ্জ ও উমরার ইহরাম বাধাকে ক্বেরান হজ্জ বলে । ক্বেরান হজ্জ আদায়কারীকে শেস দিন পরযন্ত ইহরাম অবস্থায় থাকতে হয় । উমরা ও হজ্জ একটির সাথে আরেকটা জড়িত থাকে বিধায় একে ক্বেরান হজ্জ বলা হয় । কারন ক্বেরান শব্দের অরথ হলো মিলিত করা, যুক্ত করা, একত্রিত করা ।
এই তিন ধরনের হজ্জের মধ্যে কোন ধরনের হজ্জ উত্তম এ বিসয়ে ইসলামী চিন্তানায়কদের মধ্যে মত পারথক্য রয়েছে । হযরত আবু হানিফা (রহঃ) ও অন্যান্যদের মতে ইফরাদ ও তামাত্তুর চেয়ে ক্বেরান উত্তম । আর ইফরাদের তুলনায় তামাত্তু উত্তম । কারন নবী করীম সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্জে ক্বেরানই করেছেন । হযরত ইমাম মালেক (রহঃ) ও অন্যান্যদের মতে ইফরাদ হজ্জ উত্তম । হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল ও ইমাম শাফেঈ (রহঃ) এর মতে তামাত্তু উত্তম । একটি বিসয় স্বরনে রাখতে হবে যে, হজ্জে ক্বেরান ও তামাত্তু শুধু মাত্র বহিরাগতদের জন্য । মক্কার অধিবাসীদের জন্য ক্বেরান বা তামাত্তু নেই ।-------------(চলবে)
"শারঈ' মানদন্ডে
দোয়া-যিকির,হজ্জ ও উমরা"
Shameem Sayedee - শামীম সাঈদী
দোয়া-যিকির,হজ্জ ও উমরা"
Shameem Sayedee - শামীম সাঈদী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন