শুক্রবার, ২৯ মে, ২০১৫

৬২ বছর আগে হজ যেমন ছিল

হজ্জ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । হাজার বছর ধরে বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলমানরা হজ্জ পালন করে আসছেন । তবে সব সময়ই সবকিছু একই রকম থাকেনি । দিনে দিনে হজ্জ পালনের স্থানগুলোতে পরিবর্তন এসেছে । পরিবর্তন এসেছে স্থাপনাগুলোতেও ।
দেখে নিন ১৯৫৩ সালে হজ্জ পালন কীভাবে হতো । যদিও মাত্র ৬২ বছরের ব্যাপার, তবু পরিবর্তন কিন্তু কম হয়নি । বছর বছর হজ্জ করতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলায় অনেক কিছুতেই আনতে হয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন । ছবিগুলো ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের একটি পুরনো সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল
 অনেক হজ্জযাত্রী মক্কা যেতেন ফেরিতে বা জাহাজে করে । ওই সময় বাণিজ্যিক বিমান পরিবহন ছিল শুরুর পর্যায়ে, আজকের দিনের মতো সব জায়গায় তা সহজলভ্য ছিল না ।
 যাঁদের সামর্থ্য ছিল, তাঁরা আশপাশের দেশ থেকে ছোট ছোট বিমানে করে যেতেন মক্কায় ।
 আজকের দিনের মতোই কোচে বা বাসে চড়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতেন হজ্জে যাওয়া লোকজন । 
 হজ্জ পালনের স্থানগুলোতে শুধু মুসলিমরাই প্রবেশ করতে পারে । 
 পবিত্র মসজিদের চারপাশে দেখা যাচ্ছে বাড়িঘর ও হোটেল । মসজিদটির সম্প্রসারণের জন্য এসব ঐতিহাসিক ভবনের অধিকাংশই ধ্বংস করতে হয়েছে ।
 মসজিদুল হারামের একটি প্রবেশপথ ।
 মসজিদুল হারামের প্রবেশপথের বাইরে নামাজরত মুসল্লি ।
 ওই সময়কার পবিত্র কাবাঘরের একটি ছবি ।
 পবিত্র কাবা ও মাতাফ এলাকা । তখন বাড়তি কোনো ফ্লোর (তলা) ছিল না ।
 হাজি, মুসল্লিরা তখন কাবাঘরে প্রবেশ করতে পারতেন ।
 এখনকার মতো ভিড় থাকত না, তাই তাওয়াফ ছিল সহজ ।
 মসজিদুল হারামের কাছে বাজার ও দোকান ।
 মসজিদুল হারামের কাছে বাজার ও দোকান ।
মসজিদুল হারামের কাছে বাজার ও দোকান ।
 পরিবহনের ক্ষেত্রে ব্যবহার হতো ঘোড়া আর ঘোড়ার গাড়ি ।
 কোরবানির জন্য পশু পছন্দ করে কিনতে পারতেন সব হাজী ।
 হজের সময় কেনা পশু নিজেদের কাছে রাখা যেত ।
 কেনা উটের পাশে নামাজরত হাজী ।


মিনায় আগুন কিংবা স্টোভ ব্যবহার করে নিজেরাই রান্না করতে পারতেন হজে যাওয়া মুসলিমরা ।
 আরাফাত পর্বতের পাশে আরাফাতের ময়দানে টাঙানো কিছু তাঁবু ।
জামারাত হিসেবে ছিল ছোট ছোট স্তম্ভ; শয়তানের প্রতীক হিসেবে যেখানে ঢিল ছোড়া হতো ।


মাথা মুড়াচ্ছেন এক হাজী ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন