হজ্জ আদায় সক্ষম মুসলিম নারী-পুরুস উভয়ের প্রতিই ফরজ । হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহুআনহা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল ! আপনি জিহাদকে উত্তম কাজ বলে মনে করেন, আমরা কি জিহাদে শরিক হবো না ? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না । তোমাদের জন্য সবচেয়ে উত্তম জিহাদ হলো হজ্জে মাবরুর । (বোখারী, মুসলিম)
আরেক হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে, হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহুআনহা রাসুল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জিহাদে অংশগ্রহনের অনুমতি চাইলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, তোমাদের জিহাদ হলো হজ্জ । (বোখারী, মুসলিম)
হজ্জের সময় নারীদের ঋতুস্রাব দেখা দিলে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান, পাথর নিক্ষেপ, সাঈ, যিকর আযকার, তাকবীর তাসবীহ সবই করা যাবে । শুধু তাওয়াফ করা নামায আদায় করা এবং কুরআন স্পরশ করে তেলাওয়াত করা এবং মসজিদুল হারামে অবস্থান করা যাবে না । হজ্জ আদায়ের সময় হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিআল্লাহুআনহার ঋতুস্রাব শুরু হলে তিনি কাদছিলেন । বিশ্ব নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিসয়টি অনুভব করে তাকে তাওয়াফ ও নামায আদায় ব্যতিত হজ্জের সকল কিছু পালন করতে বলেছিলেন । এরপর আয়েশ (রাঃ) যখন বললেন হে আল্লাহর রাসুল ! সকলে হজ্জ ও উমরা পালন করছে আর আমি শুধু হজ্জ পালন করলাম । ঋতুস্রাব বন্ধ হলে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিআল্লাহুআনহাকে তার ভাইএর সাথে তানঈম নামক স্থানে পাঠালেন, সেখান থেকে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) ইহরাম বেধে কা'বা ঘরে এসে উমরা করলেন । তানঈম নামক ওই স্থানেই বরতমানে মসজিদে আয়েশা অবস্থিত । তবে অধিকাংশ ইসলামী চিন্তাবীদদের মতামত হলো , হজ্জ বা উমরা সময় কোন অসুবিধা না হলে নারীগন ওসুধের মাধ্যমে ঋতুস্রাব বন্ধ রাখতে পারেন ।
মুহরিম পুরুস যদি থাকে তাহলে একজন নারী মুহরিম পুরুসকে সাথে নিয়ে হজ্জ আদায় করবেন । আর যদি মুহরিম পুরুস না থাকে তাহলে সেই নারী কিভাবে হজ্জ আদায় করবে এ সম্প্রকে ইসলাী চিন্তাবিদগন এ ধরনের সিদ্ধান্ত দিয়ছেন যে (এক) নারী যদি বয়স্কা হয় তাহলে কোন বিশ্বস্ত দলের সাথে হজ্জ আদায় করতে পারেন । (দুই) নারী যুবতী হয় আর সে যদি এক দল বিশ্বস্ত নারী পুরুস পায় তাহলে তাদের সাথে হজ্জে যেতে পারবেন । (তিন) নারী যদি যুবতী হয় আর সে যদি হজ্জে যাচ্ছে এমন একদল নারী পায়- যারা কোন দলের তত্ত্বাবধানে হজ্জে যাচ্ছে, তাহলে তাদের সাথে হজ্জে যেতে পারবেন । (চার) নারী যদি যুবতী হয় আর সে যদি আরেকজন বিশ্বস্ত নারী পায়, যিনি একদল বিশ্বস্ত পুরুস লোকের তত্ত্বাবধানে হজ্জে যাচ্ছেন, তাহলে তার সাথে হজ্জে যেতে পারবেন । (পাচ) নারী, যুবতী ব্রিধা হোক না কেনো, স্বামী, মুহরিম পুরুস বা উল্লেখিত কোন দলের অন্ত্রভুক্ত না হয়ে একাকী হজ্জের জন্য সফরে যেতে পারবেন না । ---(চলবে)
"শারঈ' মানদন্ডে
দোয়া-যিকির,হজ্জ ও উমরা"
Shameem Sayedee - শামীম সাঈদী
আরেক হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে, হযরত আয়েশা রাদিআল্লাহুআনহা রাসুল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জিহাদে অংশগ্রহনের অনুমতি চাইলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, তোমাদের জিহাদ হলো হজ্জ । (বোখারী, মুসলিম)
হজ্জের সময় নারীদের ঋতুস্রাব দেখা দিলে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান, পাথর নিক্ষেপ, সাঈ, যিকর আযকার, তাকবীর তাসবীহ সবই করা যাবে । শুধু তাওয়াফ করা নামায আদায় করা এবং কুরআন স্পরশ করে তেলাওয়াত করা এবং মসজিদুল হারামে অবস্থান করা যাবে না । হজ্জ আদায়ের সময় হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিআল্লাহুআনহার ঋতুস্রাব শুরু হলে তিনি কাদছিলেন । বিশ্ব নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিসয়টি অনুভব করে তাকে তাওয়াফ ও নামায আদায় ব্যতিত হজ্জের সকল কিছু পালন করতে বলেছিলেন । এরপর আয়েশ (রাঃ) যখন বললেন হে আল্লাহর রাসুল ! সকলে হজ্জ ও উমরা পালন করছে আর আমি শুধু হজ্জ পালন করলাম । ঋতুস্রাব বন্ধ হলে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিআল্লাহুআনহাকে তার ভাইএর সাথে তানঈম নামক স্থানে পাঠালেন, সেখান থেকে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) ইহরাম বেধে কা'বা ঘরে এসে উমরা করলেন । তানঈম নামক ওই স্থানেই বরতমানে মসজিদে আয়েশা অবস্থিত । তবে অধিকাংশ ইসলামী চিন্তাবীদদের মতামত হলো , হজ্জ বা উমরা সময় কোন অসুবিধা না হলে নারীগন ওসুধের মাধ্যমে ঋতুস্রাব বন্ধ রাখতে পারেন ।
মুহরিম পুরুস যদি থাকে তাহলে একজন নারী মুহরিম পুরুসকে সাথে নিয়ে হজ্জ আদায় করবেন । আর যদি মুহরিম পুরুস না থাকে তাহলে সেই নারী কিভাবে হজ্জ আদায় করবে এ সম্প্রকে ইসলাী চিন্তাবিদগন এ ধরনের সিদ্ধান্ত দিয়ছেন যে (এক) নারী যদি বয়স্কা হয় তাহলে কোন বিশ্বস্ত দলের সাথে হজ্জ আদায় করতে পারেন । (দুই) নারী যুবতী হয় আর সে যদি এক দল বিশ্বস্ত নারী পুরুস পায় তাহলে তাদের সাথে হজ্জে যেতে পারবেন । (তিন) নারী যদি যুবতী হয় আর সে যদি হজ্জে যাচ্ছে এমন একদল নারী পায়- যারা কোন দলের তত্ত্বাবধানে হজ্জে যাচ্ছে, তাহলে তাদের সাথে হজ্জে যেতে পারবেন । (চার) নারী যদি যুবতী হয় আর সে যদি আরেকজন বিশ্বস্ত নারী পায়, যিনি একদল বিশ্বস্ত পুরুস লোকের তত্ত্বাবধানে হজ্জে যাচ্ছেন, তাহলে তার সাথে হজ্জে যেতে পারবেন । (পাচ) নারী, যুবতী ব্রিধা হোক না কেনো, স্বামী, মুহরিম পুরুস বা উল্লেখিত কোন দলের অন্ত্রভুক্ত না হয়ে একাকী হজ্জের জন্য সফরে যেতে পারবেন না । ---(চলবে)
"শারঈ' মানদন্ডে
দোয়া-যিকির,হজ্জ ও উমরা"
Shameem Sayedee - শামীম সাঈদী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন