আসুন প্রথমেই তার সম্পর্কে কিছু জেনে নেই ।
এই অভিযোগের প্রসিকিউশন সাক্ষী তার জেরায় বলেছেন, ২৯ আগষ্ট সকালে পত্রিকায় কিছু ব্যক্তির আটকের খবর পেয়ে ওই দিনই বিকেলে তিনি তার চাচার সাথে রমনা থানায় গিয়েছিলেন এবং সেখানে গিয়ে বদি, রুমি (জাহানার ইমামের ছেলে), জুয়েল, আজাদ, আলতাফ মাহমুদসহ আরো ২০/২৫ জনকে দেখেছিলেন । অথচ প্রসিকিউশন কর্তৃক সরবরাহকৃত জাহানারা ইমামের নিজের লেখা বই ‘একাত্তরের দিনগুলি’ থেকে জানা যায় উপরোক্তদের কেউই ৩০ আগষ্ট মধ্যরাতের আগে গ্রেফতার হয়নি ।
আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ এর উপর আনিত অভিযোগ নং ৬- ঢাকার মোহাম্মাদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে বুদ্ধিজীবী হত্যা এর অসঙ্গতিঃ
রাষ্ট্রপক্ষ জনাব মুজাহিদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট
কোন অভিযোগ আনতে ব্যর্থ হয়েছে । যেমনঃ তিনি কতজন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছেন তাদের কোনো সংখ্যা নেই ।
সেই সব বুদ্ধিজীবীর নামও নেই ।
কোনোদিন, কোথায় তারা নিহত হয়েছে তারও কোনো বিবরণ নেই ।
এমনকি বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের কোন লোক সাক্ষী দিতে আসেননি ।
জনাব আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ এর বিষয়ে যে তথ্যটি আপনার জানা উচিৎ: মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার জেরায় পরিস্কারভাবে স্বীকার করেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত জনাব মুজাহিদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলাধীন কোনো থানায় বা বাংলাদেশের ৬৫টি জেলার অন্য কোন থানায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সংঘটিত কোনো অপরাধের জন্য কোনো মামলা হয়েছে, এমন তথ্য তিনি তার তদন্তে পাননি।
শুধু আপনার নয়, জাতির বিবেকের কাছে উত্থাপন
তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন,
জনাব আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ আলবদর, শান্তি কমিটি, রাজাকার, আশ শামস বা এই ধরনের কোনো সহযোগী বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, এমন কোনো তথ্য তিনি তার তদন্তকালে পাননি। তারপরও মাননীয় ট্রাইব্যুনাল তাকে আলবদর বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন !
প্রমান কই ?
আলী আহসান মো: মুজাহিদ মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। সরকারের কোনো দায়িত্বশীল পদে তিনি ছিলেন না। তার সাথে সামরিক-বেসামরিক কোনো ব্যক্তির কোন বৈঠক হয়েছে, বা কোনো কমিটিতে তার নাম আছে, এমন একটি তথ্যও রাষ্ট্রপক্ষ উপস্থাপন করতে পারেনি ।
জনাব আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ এর উপর আনিত অভিযোগ নং ১- সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেন অপহরণ ও হত্যা এর অসঙ্গতিঃ
মৃত সিরাজুদ্দিন হোসেনের ছেলে জেরায় নিজেই স্বীকার করেছেন, তার পিতাকে অপহরণের পরপর তিনি ১৯৭২ সালে রমনা থানায় দালাল আইনে একটি মামলা করেছিলেন । ওই মামলায় তিনি সাক্ষ্যও দিয়েছিলেন । এই মামলায় আসামি জনৈক খলিল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছিল এবং বিচারে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ।
মৃত সিরাজুদ্দিন হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে সিরাজুদ্দিন হোসেনের হত্যাকাণ্ডের ব্যপারে যে সব স্মৃতিচারণমূলক লেখা হয়েছে তার কোথাও আলী আহসান মুজাহিদকে জড়িয়ে কোনো কথা লেখা হয়নি ।
আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ এর উপর আনিত অভিযোগ নং ৩- ফরিদপুরের জনৈক মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জিত কুমার নাথকে আটক ও নির্যাতন এর অসঙ্গতিঃ
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেরায় স্বীকার করেছেন যে রঞ্জিত নাথকে নিগৃহীত করার ঘটনা তার জব্দকৃত কোনো বইয়ে উল্লেখ ছিল না । ফরিদপুর জেলা প্রশাসন থেকে তদন্তকারী কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বধ্যভূমির তালিকাসহ নিহত ব্যক্তিদের যে তালিকাটি সংগ্রহ করেছিলেন সেই তালিকায়ও রঞ্জিত নাথের নাম নেই ।
আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ এর উপর আনিত অভিযোগ নং ৫ - নাখালপাড়া এমপি হোস্টেলে বেশ কয়েকজন বন্দীকে নির্যাতন করে হত্যা এর অসঙ্গতিঃএই অভিযোগের প্রসিকিউশন সাক্ষী তার জেরায় বলেছেন, ২৯ আগষ্ট সকালে পত্রিকায় কিছু ব্যক্তির আটকের খবর পেয়ে ওই দিনই বিকেলে তিনি তার চাচার সাথে রমনা থানায় গিয়েছিলেন এবং সেখানে গিয়ে বদি, রুমি (জাহানার ইমামের ছেলে), জুয়েল, আজাদ, আলতাফ মাহমুদসহ আরো ২০/২৫ জনকে দেখেছিলেন । অথচ প্রসিকিউশন কর্তৃক সরবরাহকৃত জাহানারা ইমামের নিজের লেখা বই ‘একাত্তরের দিনগুলি’ থেকে জানা যায় উপরোক্তদের কেউই ৩০ আগষ্ট মধ্যরাতের আগে গ্রেফতার হয়নি ।
রাষ্ট্রপক্ষ জনাব মুজাহিদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট
কোন অভিযোগ আনতে ব্যর্থ হয়েছে । যেমনঃ তিনি কতজন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছেন তাদের কোনো সংখ্যা নেই ।
সেই সব বুদ্ধিজীবীর নামও নেই ।
কোনোদিন, কোথায় তারা নিহত হয়েছে তারও কোনো বিবরণ নেই ।
এমনকি বুদ্ধিজীবীদের পরিবারের কোন লোক সাক্ষী দিতে আসেননি ।
আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ এর উপর আনিত অভিযোগ ও রায়ের অসঙ্গতিঃ
প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়া, রুয়ান্ডা, সিয়েরালিয়েনসহ অন্যান্য ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে যত বিচার হয়েছে সেখানে বেশির ভাগ সাক্ষী ছিলেন নিহতদের পরিবারবর্গের সদস্যবৃন্দ । অন্যদিকে বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালে জনাব মুজাহিদকে বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো অথচ সেই বুদ্ধিজীবী একজনেরও নাম প্রকাশ করা হলো না এবং তাদের পরিবারের কাউকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করা হলো না !
আলী আহসান মোঃ মুজাহিদ এর উপর আনিত অভিযোগ নং ৭- বাকচরে হত্যাযজ্ঞ এর অসঙ্গতিঃ
এই মামলার একজন সাক্ষী শোনা সাক্ষী ।
আর আরেকজন বর্তমানে ভারতে থাকলেও ট্রাইবুনালে এসে বাংলাদেশে থাকার দাবি করেন ।
সাক্ষী শক্তি সাহা তার পিতার হত্যার বিচার চেয়ে ট্রাইবুনালে সাক্ষী দিলেও জেরার একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশে তার সুদীর্ঘকাল অবস্থান কালে তিনি তার বাবার হত্যার ব্যাপারে কোনো থানায় বা আদালতে কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। তার বড়ভাই ফরিদপুরেই আছেন । সেই ভাই তার বাবার মৃত্যুসংক্রান্ত কোনো মামলা করেছেন কি না তার জানা নেই ।
ওই সাক্ষী গাব গাছের উপরে বসে তার পিতার হত্যাকাণ্ড দেখার বর্ননা করেছেন যা মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয় ।
আসুন এ পর্যায়ে একটা আয়াত ও হাদীস সম্পর্কে অবগত হইঃ
সবশেষে একটু মাথা খাটানোর অনুরোধ করবো । একটু ভাবে দেখুন বিষয়টাঃ
সব অবস্থায় ধৈর্য্য ধারন করার বিষয়েই ইসলাম শিক্ষা দেয় । আর বিরুদ্ধবাদী, ইসলাম বিরোধীদের এটা অবশ্যই মনে রাখা উচিৎঃ আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী ।
আরো জানতে লাইক করুনঃ Free Jamaat Leaders BD
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন