যখন তাদের বলি শবে বরাত পালন করবেন না এটা ইসলামে নেই, তাই এটা বিদ’আত, তখন তারা বলে,
-‘কীভাবে এটা বিদআত হলো’?
-‘নফল নামায রোজা করা কীভাবে বিদ’আত হতে পারে’?
-‘দেশের এত, এত মানুষ এটা পালন করছে তারা কি সবাই ভুল’?
-‘এত আলেম, হুজুরেরা এটা পালন করছে তারা কি সবাই ভুল’?
-‘তারা কি কুরআন হাদিস পরে না? তারা কি জানে না? ইত্যাদি ইত্যাদি...’
দেখুন সংখ্যা বেশী হলেই যে কোন পক্ষ হক্ব তা কিন্তু প্রমান হয় না। নিচে এই সম্পর্কিত মহান আল্লাহ্র বানীটি একটু দেখুন-
وَإِن تُطِعْ أَكْثَرَ مَن فِي الْأَرْضِ يُضِلُّوكَ عَن سَبِيلِ اللَّهِ ۚ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا الظَّنَّ وَإِنْ هُمْ إِلَّا يَخْرُصُونَ
-যদি আপনি দুনিয়ায় বসবাসকারী অধিকাংশ লোকের কথায় চলেন তাহলে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে ফেলবে৷ তারা তো চলে নিছক আন্দাজ-অনুমানের ভিত্তিতে এবং তারা কেবল আন্দাজ-অনুমানই করে থাকে৷ [সূরা আল-আনআম ৬/১১৬]
►অর্থাৎ দুনিয়ার অধিকাংশ লোক নির্ভুল জ্ঞানের পরিবর্তে কেবলমাত্র আন্দাজ অনুমানের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তাদের আকীদা-বিশ্বাস,দর্শন, চিন্তাধারা, জীবন যাপনের মূলনীতি ও কর্মবিধান সবকিছুই ধারণা ও অনুমানের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে আল্লাহর পথ অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টি অনুযায়ী দুনিয়ায় জীবন যাপন করার পথ মাত্র একটিই। সেটি হচ্ছে, আল্লাহ নিজে যে পথটি জানিয়ে দিয়েছেন-লোকেরা নিজেদের আন্দাজ-অনুমান ও ধারণা-কল্পনার ভিত্তিতে নিজেরাই যে পথটি তৈরী করেছে, সেটি নয়। কাজেই দুনিয়ার বেশীর ভাগ লোক কোন্ পথে যাচ্ছে, কোন সত্য সন্ধানীর এটা দেখা উচিত নয়, বরং আল্লাহ যে পথটি তৈরী করে দিয়েছেন তার ওপরই তার দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে চলা উচিত।
ইসলাম চলবে কোরআন ও হাদীস এর দলিল অনুযায়ী, কোন বাপদাদা বা হুজুরের দোহাই দিয়ে নয়! রাসুল ﷺ এর সময় বাপ দাদার দোহাই দিতো ইহুদী-খৃষ্টানেরা। আপনারাও যদি বাপ দাদার দোহাই দিয়ে সত্যকে অস্বীকার করেন, তাহলে ঐ ইহুদী-খৃষ্টানদের সাথে আপনার পার্থক্য থাকলো কোথায়? দেখুন মহান আল্লাহ কোরআনে আরও বলেন,
وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّبِعُوا مَا أَنزَلَ اللَّهُ قَالُوا بَلْ نَتَّبِعُ مَا أَلْفَيْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا ۗ أَوَلَوْ كَانَ آبَاؤُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ شَيْئًا وَلَا يَهْتَدُونَ
-তাদের যখন বলা হয়, আল্লাহ যে বিধান নাযিল করেছেন তা মেনে চলো, জবাবে তারা বলে, আমাদের বাপ-দাদাদের যে পথের অনুসারী পেয়েছি আমরা তো সে পথে চলবো৷ আচ্ছা, তাদের বাপ-দাদারা যদি একটুও বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ না করে থেকে থাকে এবং সত্য-সঠিক পথের সন্ধান না পেয়ে থাকে তাহলেও কি তারা তাদের অনুসরণ করে যেতে থাকবে? [সুরা আল-বাকারা ২/১৭০]
►অর্থাৎ বাপ-দাদাদের থেকে এভাবেই চলে আসছে এ ধরনের খোঁড়া যুক্তি পেশ করা ছাড়া তাদের কাছে এসব বিধি-নিষেধের পক্ষে পেশ করার মতো কোন সবল যুক্তি-প্রমাণ নেই। বোকারা মনে করে কোন পদ্ধতির অনুসরণ করার জন্য এই ধরনের যুক্তি যথেষ্ট।
সত্য. সর্বদাই সত্য
উত্তরমুছুনতা মুছে ফেলার সাদ্দ্ব কোন মানুষের নেই.
কিন্তু শবে বরাত যে বিদআত এর প্রমান কই?
উত্তরমুছুন